নিবন্ধনের পরও টিকা পাননি ২ কোটি ৩২ লাখ মানুষ

নতুন

দিন যত গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে টিকার এসএমএস পেতে বিপুল সংখ্যক মানুষের অপেক্ষা-উৎকণ্ঠা। নিবন্ধনের পরও টিকা না পাওয়া মানুষ এখন ২ কোটি ৩২ লাখের বেশি। অথচ দিনে প্রথম ডোজ দেওয়া হচ্ছে গড়পড়তা দুই থেকে আড়াই লাখ মানুষকে।

এ অবস্থায় অপেক্ষমাণদের টিকার প্রথম ডোজ পেতে সময় লাগবে তিন মাসেরও বেশি। তবে টিকার সংকট হবে না দাবি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, চেষ্টা চলছে টিকাদান কার্যক্রমের সক্ষমতা বাড়ানোর।

কেন্দ্রে কেন্দ্রে দিন দিন বাড়ছে টিকা প্রত্যাশীদের ভিড়। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে কোনো কোনো দিন প্রয়োগ হচ্ছে ৫ লাখের বেশি টিকা। কিন্তু চাহিদার বিপরীতে এ সংখ্যাও যথেষ্ট নয়। রাজধানীর অনেক স্থানেই নিবন্ধনের পর কেউ এক মাস কারো বা অপেক্ষার পালা দেড় থেকে দুই মাস। আসছে না টিকার জন্য এসএমএস।

টিকা প্রত্যাশী এক তরুণী জানান, গত মাসের ২৬ তারিখে আমার পরিবারের ৯ জনের জন্য টিকার নিবন্ধন করেছি, একজনের এসএমএস জন্যও আসেনি।

অপর এক ব্যক্তি বলেন, টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছি কিন্তু এখনো এসএমএস আসেনি।

দেশে এখন পর্যন্ত টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৪ কোটি ১৩ লাখের বেশি মানুষ। এর মধ্যে কমপক্ষে এক ডোজ পেয়েছেন এমন মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ৮১ লাখ। অর্থাৎ নিবন্ধনের পর টিকার অপেক্ষায় এখন ২ কোটি ৩২ লাখ মানুষ। অথচ দিনে প্রথম ডোজ দেওয়া হচ্ছে দুই থেকে আড়াই লাখ মানুষকে। এ হারে টিকা দেওয়া হলে বর্তমানে নিবন্ধিত ব্যক্তিদের প্রথম ডোজ নিশ্চিতেই সময় লেগে যাবে ৩ মাসের বেশি।

অন্যদিকে, দেশে বর্তমানে টিকার মজুদ ৬৬ লাখের মতো। যদিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, সরবরাহ অব্যাহত থাকায় টিকার কোনো সংকট হবে না। তবে কেন্দ্রের সক্ষমতার চেয়ে বেশি নিবন্ধনের কারণে জট তৈরি হয়েছে। সেক্ষেত্রে টিকাদান কার্যক্রমের পরিসর বাড়ানোর ভাবনা অধিদপ্তরের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সক্ষমতা আছে টিকার দেওয়ার এবং সেই সক্ষমতা অনুযায়ী তারা এসএমএস পাঠায়।

ঠিকাদানকারী কেন্দ্র যেগুলো আছে তার থেকে আরও কীভাবে বাড়ানো যায় সেটি নিয়ে আমরা কাজ করছি।

মহামারি থেকে সুরক্ষায় দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্য ঠিক করেছেন নীতিনির্ধারকরা। এর মধ্যে চলতি বছরেই ৭ কোটি মানুষকে টিকা দিতে চায় সরকার।

এসএইচ-১০/৩১/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)