কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে আগামী মাস থেকে (অক্টোবর) আবারও গণপরিসরে টিকা কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এলক্ষ্যে আগামী চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যেই সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
জানা গেছে, ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ১ কোটিসহ প্রতি মাসে নিয়মিত প্রায় ২ কোটি টিকা দেওয়া হবে।
সোমবার সংবাদমাধ্যমকে এসব বিষয় জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।
তিনি বলেন, গণহারে শুরু হতে যাওয়া এই টিকা কর্মসূচিকে আমরা গণটিকা বলছি না। তবে ব্যাপক আকারে আমরা এই টিকা দেব।
স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, দুই/চার দিনের মধ্যেই আমরা জানাতে পারব কবে থেকে এই টিকা কার্যক্রম শুরু করতে পারব। নির্দিষ্ট কোনো তারিখ বলতে পারছি না। কারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে তো এখন ক্লাস শুরু হয়েছে। আপনারা জানেন, স্কুলগুলোতে আমরা একসঙ্গে ব্যাপক সংখ্যক মানুষকে টিকা দিতে পারতাম। এখন আমাদেরকে বিকল্প ব্যবস্থা করেই এরপর কাজ শুরু করতে হবে।
খুরশীদ আলম বলেন, আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিকল্প বড় জায়গা খুঁজতে শুরু করেছি। সারা দেশেই আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। কোন উপজেলায় বড় অডিটোরিয়াম আছে, কোথায় খোলা জায়গা আছে, আমরা খুঁজতে শুরু করেছি। আশা করছি ২/৩ দিনের মধ্যেই আমরা টিকা কেন্দ্র নির্ধারণ করতে পারব।
এবার সারা দেশে কোন টিকা দেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, সারা দেশে এবারও সিনোফার্মের টিকাই দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আগে সিটি করপোরেশন এলাকাগুলোতে মডার্নার টিকা দেওয়া হলেও এবার সেগুলোতে সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হতে পারে।
এর আগে, গত ৭ আগস্ট দেশে করোনা প্রতিরোধে গ্রামে গ্রামে টিকার ক্যাম্পেইন করা হয়েছিল। সেই সময়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ টিকা পেতে নিবন্ধন করেন। সরকারের পরিকল্পনা ছিল এক সপ্তাহে ১ কোটি টিকা দেওয়ার। টিকার মজুত সীমিত থাকার কারণে সে সময় তা সম্ভব হয়নি।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মারা গেছেন আরও ২৬ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ২৫১ জনে। নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ১ হাজার ৫৫৫ জনের দেহে। এ নিয়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ লাখ ৪৪ হাজার ২৩৮ জনে।
এসএইচ-৩১/২০/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)