নিষেধাজ্ঞা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নয়, র‌্যাবের কতিপয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে

মার্কিন কংগ্রেস সদস্য এবং পররাষ্ট্রনীতিসংক্রান্ত হাউস কমিটির চেয়ারম্যান গ্রেগোরি ডব্লিউ মিকস জানিয়েছেন, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বাংলাদেশের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চান না।

সোমবার নিউইয়র্কের কুইন্সে আটলান্টিক ডাইনার রেস্টুরেন্টে এক ‘সামাজিক মতবিনিময়’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় তহবিল সংগ্রহের উদ্দেশ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমরা এটি নিশ্চিত করতে চাই যে আমরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছি না এবং আমরা এখনো বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের সঙ্গে কাজ অব্যাহত রেখেছি।’

গ্রেগোরি জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশের দূতাবাসের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংক্ষেপে তার কিছু বক্তব্য তুলে ধরা হলো:
ক. গত এক দশকে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসা করেন তিনি।
খ. ২০২২ সালের মাঝামাঝি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে বাংলাদেশ সফরের আসার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
গ. আরোপিত নিষেধাজ্ঞা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নয়, শুধু র‌্যাবের কতিপয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আর নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে তারা দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
ঙ. বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হিসেবে নেতৃত্ব দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

গ্রেগোরি, যিনি একই সঙ্গে একজন চৌকশ আইনজীবী, ১৯৯৮ সাল থেকে নিউইয়র্কে মার্কিন রাজনৈতিক দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ২০২১ সাল থেকে পররাষ্ট্রনীতিসংক্রান্ত হাউস কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন।

মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য গ্রেগোরি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করছি না। একটি প্রতিষ্ঠানের কিছু ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, সম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নয়। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।’

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ও বাইরে থেকে একটি সুবিধাবাদী মহল আরও কিছু কর্মকর্তা, এমনকি রাজনীতিবিদদের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য প্রবলভাবে লবিং চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমরা তাদের মুখের কথায় কাজ করব না। এটা সম্ভব নয়। সবকিছু যাচাই-বাছাই করার পর আমরা সঠিক উদ্যোগ নেব।’
তিনি এ বছর বাংলাদেশে এসে মানবাধিকার পরিস্থিতি ও অন্যান্য বিষয় সরেজমিন দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, ‘এর আগে, আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলসংক্রান্ত কংগ্রেসের উপকমিটির সঙ্গে কথা বলব। প্রয়োজন হলে আমরা বাংলাদেশ বিষয়ে কংগ্রেসে শুনানির আয়োজন করব।’

গ্রেগোরি তার নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের প্রতি সহানুভূতিশীল হিসেবে পরিচিত। কংগ্রেসে তার ভোটারদের দৃঢ় প্রতিনিধিত্ব করা এবং জোট গঠনে অপরিসীম দক্ষতার জন্যও তিনি সুপরিচিত। তিনি নিউইয়র্কের পঞ্চম কংগ্রেসনাল ডিসট্রিক্টের প্রতিনিধিত্ব করেন, যে এলাকা মূলত বাংলাদেশি-আমেরিকান-অধ্যুষিত।

৩১ জানুয়ারি বেলা ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত নিউইয়র্কের কুইন্সে আটলান্টিক ডাইনার রেস্টুরেন্টে কংগ্রেসম্যান গ্রেগোরি মিকস (চেয়্যারম্যান, হাউস ফরেন রিলেশনস কমিটি)-এর সৌজন্যে একটি ‘সামাজিক মতবিনিময়’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় গ্রেগোরি মিকস অত্যন্ত মনোযোগসহকারে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের বক্তব্য শোনেন।

এসএইচ-১০/০১/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)