বইমেলায় বিক্রেতারা টিকা সনদ না রাখলে জরিমানা, স্বাস্থ্যবিধিতে কড়াকড়ি

করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার বইমেলা পিছিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে। ফলে মেলা শুরু হতে বাকি মাত্র দুদিন। তবে করোনার শঙ্কা দূর হয়নি। তাই মেলাকে কেন্দ্র করে যাতে করোনার প্রকোপ বাড়তে না পারে, তাই মেলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, বিশেষ করে বিক্রেতাদের টিকা সনদ সঙ্গে রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। অন্যথায় জরিমানা করা হবে।

এ ছাড়া মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক থাকার পাশাপাশি শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয়ের ব্যবস্থা থাকবে। এমনকি সবার মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে মেলার মধ্যে মোবাইল টিম থাকবে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।

রোববার বেলা ১১টার দিকে মেলার সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্থাপিত অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সামনে থেকে ব্রিফিংকালে শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মেলার নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রতিটি প্রবেশপথে চেকিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া সন্দেহ হলে আলাদা কক্ষে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’

মেলায় আসা ক্রেতা-দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে থাকবে মেডিকেল টিম। মেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ডিএমপির পক্ষ থেকে খাবার পানি সরবরাহ করা হবে। এ ছাড়া থাকবে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার।

মেলায় জঙ্গি হামলার শঙ্কার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। বিষয়গুলো একেবারে উড়িয়ে না দিয়ে তিনি বলেন, ‘ব্লগার অভিজিৎ হত্যার রায়ের পর জঙ্গিরা অনেকটাই ক্ষিপ্ত আছে। রায়ের পর আমরাও জঙ্গি তৎপরতার বিষয়ে, বিশেষ করে এই বইমেলার নিরাপত্তাব্যবস্থার চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছি। তাদের নেতা চাকরিচ্যুত মেজর জিয়া এখনো বাইরে। তাই আমরা নিরাপত্তাসংক্রান্ত ঝুঁকি একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছি না। তাকে গ্রেফতারে দেশে-বিদেশে পুরস্কার ঘোষিত হয়েছে। আমরাও চেষ্টা করছি।’

তিনি বলেন, ‘বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ মেলার প্রাঙ্গণসহ আশপাশের সব জায়গা সিসিটিভির আওতায় এনেছে। সাদা পোশাকে পুলিশের পাশাপাশি ডিবি ও সিটিটিসি থাকবে। এ ছাড়া সোয়াত টিম, ডগ স্কোয়াড, মোটরসাইকেল ও পুলিশ ভ্যানে আমাদের সদস্যরা মহাড়ায় থাকবেন।’

এ সময় বইমেলায় বিতর্কিত বই ও প্রকাশিত বইয়ের ওপর পুলিশের নজর রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘মেলায় অনেক বই প্রকাশিত হয়। এত বই পড়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া কষ্টকর। এ জন্য এবার পুলিশের পক্ষ থেকে আলাদা লোক থাকবে, তারা প্রতিদিন যেসব বই আসবে, তা মনিটরিং করবে।’

তিনি বলেন, ‘যদি কেউ রাত ৩টার সময় বই এনে মেলায় ঢুকায়, তাহলে তো পুলিশের পক্ষে তা মনিটরিং করা সম্ভব নয়। তবে ওই বইয়ের দায়িত্ব স্টল মালিক এবং প্রকাশককে নিতে হবে।’

প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে বইমেলা। তবে দর্শনার্থীরা রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন এবং রাত ৯টায় মেলার আলোকবাতি বন্ধ করে দেওয়া হবে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবারসহ অন্যান্য সরকারি ছুটির দিনে মেলা বেলা ১১টায় শুরু হবে। তবে ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে মেলা।

এসএইচ-০২/১৩/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)