১৭ থেকে ৩১ মার্চ দেওয়া হবে সোয়া ৩ কোটি ডোজ টিকা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৩ কোটি ২৫ লাখ ডোজ করোনার টিকা দেওয়ার এক বিশেষ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। আর এই বিশেষ ক্যাম্পেইনে একাধারে টিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজের টিকা দেওয়া হবে।

বুধবার ২৬তম জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ উদ্‌যাপন উপলক্ষে অবহিতকরণ সভা শেষে তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, টিকা নিয়ে প্রতিনিয়ত একটা মাইলফলক হয়। কিছুদিন আগে একদিনে এক কোটি ২০ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে। আমরা একটি প্রোগ্রাম করছি। যেমনটা আগেও করেছি। সেটি হবে বুস্টার ডোজ, দ্বিতীয় ডোজ এবং প্রথম ডোজও বটে। এ কার্যক্রমটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কাল থেকে শুরু হবে। চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত।

১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ সবমিলিয়ে আমরা একটি বিশাল কার্যক্রম হাতে নিয়েছি মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এ কর্মসূচির মাধ্যমে তিন কোটি ২৫ লাখ ডোজ টিকা দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। আমরা দিতে চাই এবং আমরা আশা করি, সেটা দিতে পারবো।

সরকারের কাছে পর্যাপ্ত টিকা রয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘টিকার কোনও অভাব নেই, টিকা আমাদের যথেষ্ট রয়েছে। আট কোটির উপরে টিকা আমাদের কাছে আছে। আপনারা জানেন, ইতোমধ্যে আমরা ১২ কোটি ৬২ লাখ প্রথম ডোজ দিয়েছি। ৯ কোটি চার লাখ দ্বিতীয় ডোজ দিয়েছি। আর বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে ৫০ লাখ। সব মিলিয়ে ২২ কোটির বেশি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। আরও ৩ কোটি ডোজ দিতে পারলে আমাদের মোট টিকা দেওয়ার সংখ্যা ২৫ কোটি পার হবে। অর্থাৎ, দেশের মোট জনগণের ৭৫ শতাংশ এবং টার্গেটেড জনগোষ্ঠীর প্রায় ৯৫ থেকে ১০০ শতাংশ মানুষ টিকা পাবেন।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘মঙ্গলবার একজনেরও মৃত্যু হয়নি করোনায় আক্রান্ত হয়ে। এটা আমাদের জন্য একটি বড় বিষয়। আক্রান্তের সংখ্যাও সবচেয়ে কম ছিল বেশ কয়েক মাসের গড় হিসাবে, এটা খুবই আশাব্যঞ্জক। আমরা খুবই ভালো অবস্থায় আছি, করোনা নিয়ন্ত্রণের পেছনে অনেক কাজ করতে হচ্ছে। দেশে করোনার চিকিৎসার কোনও অভাব নাই, অক্সিজেনের অভাব নাই, বেডের অভাব নাই, আইসিইউর অভাব নাই।

যার ফলে, রোগীরা যারা হাসপাতালে যায়, ভালো চিকিৎসা পায়, সেই সঙ্গে রোগীর সংখ্যা খুবই কম। পাশাপাশি টিকা দেওয়ার কারণে অনেক লাভবান হয়েছি।

বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনতে পারায় দেশ লাভবান হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সবচেয়ে বড় লাভ মৃত্যু শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। ভ্যাকসিন দিতে পারায় স্কুল-কলেজ খুলে গেছে। ভ্যাকসিন দেওয়ার কারণে, মৃত্যু কমার কারণে আমাদের দেশের অর্থনীতি সচল, আমদানি রফতানি ভালো চলছে। জিডিপি ছয় শতাংশের উপরে রয়েছে, ভারতে এরচেয়ে কম রয়েছে।

আমাদের জীবনযাত্রা-চলাফেরা স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। টিকা নেওয়া এর অন্যতম কারণ, বলেন তিনি।

এসএইচ-০৭/১৬/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)