২৫ মার্চ রাতের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি

একাত্তরের ২৫ মার্চ ঘুমন্ত-নিরস্ত্র বাঙালির ওপর পাকিস্তানি বাহিনীর নারকীয় গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি উঠেছে। বিশেষ এই দিনটিকে ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পরিচালিত ‘উন্মুক্ত লাইব্রেরির’ পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারকে সম্মাননা ও চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এ সময় নাটক, চলচ্চিত্র, গান ও কবিতায় নৃশংসতম গণহত্যার ইতিহাস আরও বেশি করে তুলে ধরতে তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান বিশিষ্টজনরা।

একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে পাকবাহিনীর প্রথম টার্গেট ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। একে একে হত্যা করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্র-শিক্ষকসহ অন্তত ২০০ জনকে।

নারকীয় সেই হত্যাযজ্ঞের রক্তাক্ত ক্ষত বুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ক্যাম্পাসে শুক্রবার গণহত্যা দিবসের আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গড়ে ওঠা উন্মুক্ত লাইব্রেরির পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে বিশেষ এই আয়োজন।

যেখানে মুক্তির গানে গানে উঠে আসে একাত্তরে মুক্তিকামী বীর বাঙালির সংগ্রাম আর ত্যাগের মহিমা। যেন স্মৃতির পাতায় আবারও ফিরে যাওয়া নৃশংস সেই দিনটিতে।

অনুষ্ঠানে বীর বিক্রম হাবিলদার আব্দুল হাকিম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত মধুর ক্যান্টিনের স্বত্বাধিকারী একাত্তরের শহীদ মধুসূদন দে ওরফে মধুদা-র পরিবারের স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সম্মাননা স্মারক।
গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে সরকারকে আরও সোচ্চার হওয়ার পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মকে শিল্প-সাহিত্যের মাধ্যমে ইতিহাস তুলে ধরার আহ্বান জানান বক্তারা।

পরে একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর আয়োজন করা হয় চিত্র প্রদর্শনীর। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ ঘুরে ঘুরে দেখেন নির্মম হত্যাকাণ্ডের পুরোনো সেসব স্মৃতি।

এসএইচ-০৬/২৫/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)