‘দাওয়াত ছাড়াই’ বিএনপির কর্মসূচিতে জামায়াত, হাতাহাতি!

‘দাওয়াত ছাড়াই’ বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। এ সময় অনশনে আসা জামায়াত নেতাকর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতিরও ঘটনা ঘটে।

শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটির প্রতীকী অনশনে এসব ঘটনা ঘটে।

জামায়াতের দাওয়াত ছাড়া অনশনে অংশ্রগহণের বিষয়ে দেশের জাতীয় একটি গণমাধ্যমকে বিএনপির ঢাকা মহানগরের দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, ‘এখানে আমন্ত্রণের কিছু নাই। সবাই যার যার মতো একাত্মতা জানাতে এসেছে। তবে জামায়াতকে আমন্ত্রণ জানাইনি।’

প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপির একটি সূত্র জানায়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে অনশনে ২০ দলীয় জোটের কয়েকটি দলের প্রধানকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হলেও জামায়াতকে দাওয়াত জানানো হয়নি। তারপরও দলটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল অনশনে অংশগ্রহণ করেন।

সূত্রটি জানায়, এই অনশনে বিএনপির নীতিনির্ধারকদের পক্ষ থেকে জামায়াতকে অংশগ্রহণের বিষয়ে বলা হয়নি। তবে স্থায়ী কমিটির কোনো সদস্যের পরামর্শে জামায়াত নেতা বুলবুল অনশনে যেতে পারেন। এ সময় বুলবুলকে বক্তব্য দিতেও দেখা যায়। বক্তব্যে বিএনপিকে মোবারকবাদ জানিয়ে জামায়াত নেতা বুলবুল বলেন, ‘বিএনপি মাঠের কর্মসূচিতে নেমেছে। এ জন্য আমরা মোবারকবাদ জানাই।’

অনশনে আমন্ত্রণের বিষয়ে ২০ দলীয় জোটের শরীক নেতা লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ইরান সময় টিভিকে বলেন, জামায়াত ইসলামী এমন কোনো নাম সর্বস্ব রাজনৈতিক দল নয় যে তাদেরকে আমন্ত্রণ ছাড়া বিএনপির মঞ্চে এসে বক্তব্য দিতে হবে। আমার মনে হয় না তারা দাওয়াত ছাড়া এসেছে। তবে কে দাওয়াত করেছে তা আমি জানি না। আমাকে যে দাওয়াত করেছে সে তাদেরকে নাও দাওয়াত দিতে পারে।

তিনি বলেন, তারা যদি দাওয়াত না দিত তাহলে জামায়াতের কোনো প্রতিনিধিকে বিএনপি অনশনের মঞ্চে বক্তব্য দিতে দিত না। যোগাযোগ বা দাওয়াত ছাড়া জামায়াতের কোনো প্রতিনিধি এসেছে বলে আমি মনে করি না।

এদিকে অনশনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে জামায়াত নেতা বুলবুলের সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ও কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী জানান, বিএনপির অনশনে নুরুল ইসলাম বুলবুল যোগ দিতে গেলে তাকে ফুটপাতে চেয়ারে বসতে বলা হয়েছিল। এ সময় বিএনপির অনুসারী কয়েকজন বুলবুলের ওপর চড়াও হয় এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে বুলবুলের সঙ্গে থাকা কয়েকজন আহত হন, তাদের পাশের একটি হাসপাতালের উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়। তবে, ঠিক কতজন আহত হয়েছে, তা জামায়াতের পক্ষ থেকে স্বীকার করা হয়নি।

হাতাহাতির বিষয়ে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ইরান সময় টিভিকে বলেন, আমি এ রকম কোনো ঘটনা দেখিনি বা শুনিনি। যদি এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেও থাকে তাহলে সেটা একটা বিচ্ছিন্ন একটা ঘটনা। যদি এটা হয়েও থাকে তাহলেও বিএনপি বা জামায়াতের কোনো বিষয় না।

তবে এসব বিষয়ে জামায়াতের একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।

এসএইচ-২০/০২/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)