ঋণ পরিশোধে শ্রীলঙ্কাকে আরও সময় দিল বাংলাদেশ

বাংলাদেশ থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধে শ্রীলঙ্কাকে এক বছর বাড়তি সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম জানান, শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে এই সময় দেওয়া হয়েছে।

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় শ্রীলঙ্কাকে ঋণ পরিশোধে বাড়তি এ সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কাকে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত (রিজার্ভ) থেকে ২০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছিল। কিন্তু এই মুহূর্তে চরম আর্থিক সংকটে পড়া দেশটিকে দেওয়া ঋণ ফেরতের সম্ভাবনা খুবই কম। তাই ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার জন্য আরও এক বছর সময় বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, শ্রীলঙ্কার অবস্থা খারাপ হওয়ায় ঋণ পরিশোধে আরও এক টেনিউর (বছর) সময় বাড়ানো হয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশ থেকে নেওয়া ২০ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধে আরও এক বছর সময় পেল দেশটি।

এর আগে শ্রীলঙ্কার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের মে মাসে মুদ্রা বিনিময়ের (কারেন্সি সোয়াপ) আওতায় শ্রীলঙ্কাকে ২০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। সিদ্ধান্তের আলোকে ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট প্রথম দফায় ৫০ মিলিয়ন বা ৫ কোটি ডলার ছাড় করা হয়। একই বছরের ৩০ অক্টোবরে দ্বিতীয় দফায় ১০ কোটি ডলার দেওয়া হয় এবং গত নভেম্বরে বাকি ৫ কোটি ডলার দেওয়া হয় শ্রীলঙ্কাকে।

যে দিন থেকে যে অর্থ ছাড় করা হয়েছে, সে দিন থেকে মেয়াদ হিসাব করা হবে। বিদ্যমান চুক্তির আওতায় চলতি ২০২২ সালের আগস্ট, অক্টোবর ও নভেম্বরের মধ্যে সুদসহ অর্থ ফেরত দেওয়ার কথা ছিল দেশটির। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগের সময়ের সঙ্গে এখন আরও এক বছর যুক্ত হবে। তবে এই বাড়তি সময়ের জন্য অতিরিক্ত সুদ পাবে বাংলাদেশ।

চুক্তি অনুযায়ী শ্রীলঙ্কার ঋণের জন্য ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে লাইবরের (লন্ডন ইন্টারব্যাংক অফার রেট) সঙ্গে অতিরিক্ত ২ শতাংশ সুদ যুক্ত করে শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংককে পরিশোধ করবে।

এসএইচ-১৫/০৯/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)