‘দেশে জ্বালানি তেল পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে’

দেশে জ্বালানি তেলের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। সামনের দিনেও কোনো প্রকার সংকটের আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। সোমবার  এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৭ ও ৮ মে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেশের উত্তরাঞ্চলে পেট্রল ও অকটেনের সংকট সংক্রান্ত সংবাদ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) আওতাধীন তেল বিপণন কোম্পানির মাধ্যমে সারা দেশে তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে চাহিদা অনুযায়ী দেশে অকটেন ও পেট্রলের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে মে ও জুন, ২০২২ প্রতিমাসে প্রয়োজন অনুযায়ী অকটেন আমদানির সূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ সূচি অনুযায়ী প্রতি সপ্তাহেই জ্বালানি তেলবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়ছে।

অন্যদিকে ইন্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড এবং জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী দেশীয় বেসরকারি প্ল্যান্টসমূহে অকটেন ও পেট্রল উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে, যা জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ আরও সুসংহত করবে।

প্রসঙ্গত, দেশীয় উৎপাদন দ্বারা পেট্রলের সম্পূর্ণ চাহিদা পূরণ করা হয়ে থাকে। দেশে অকটেন ও পেট্রলের স্বাভাবিক গড় মাসিক চাহিদা যথাক্রমে প্রায় ৩৬০০০ মেট্রিক টন এবং ৩৯০০০ মেট্রিক টন। বর্তমান মজুত, আমদানি পরিকল্পনা এবং দেশীয় উৎপাদন দ্বারা এ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।

উল্লেখ্য, খুলনার দৌলতপুর, পার্বতীপুর ও চট্টগ্রাম থেকে রংপুরে রেল ওয়াগনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয়। দেশে পর্যাপ্ত মজুত থাকা সত্ত্বেও ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে যাত্রী পরিবহনে প্রাধান্য প্রদানসহ ইঞ্জিন স্বল্পতার কারণে উক্ত ডিপোসমূহে অকটেন ও পেট্রল সরবরাহে নির্ধারিত সময়ের তুলনায় কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে বর্তমানে সারা দেশে অকটেন ও পেট্রলের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। তাছাড়া অন্যান্য জ্বালানি তেলের মজুত ও সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। জ্বালানি সংকটের কথা বলে কেউ যদি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে অকটেন ও পেট্রল বিক্রয় করে তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্রেতা সাধারণকে কোনোভাবেই নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্যে অকটেন ও পেট্রল ক্রয় না করার অনুরোধ করা হলো।

এসএইচ-২১/০৯/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)