মানুষসহ সব প্রাণীর সুখ-শান্তি কামনা বুদ্ধভক্তদের

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধপূর্ণিমা। গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বোধি লাভ ও প্রয়াণ এই একই দিনে হওয়ায় দিনটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। দিবসটি উপলক্ষ্যে রোববার রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহারে দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

যিনি বলে গেছেন অহিংসার কথা, জীবনভর মানুষকে দিয়েছেন ত্যাগের শিক্ষা, তিনি গৌতম বুদ্ধ। তিনি ছিলেন একজন তপস্বী ও জ্ঞানী, যার শিক্ষার ভিত্তিতেই বৌদ্ধ ধর্ম প্রবর্তিত হয়। বৌদ্ধ ধর্মমতে, আড়াই হাজার বছর আগে এ দিনে নেপালের কপিলাবস্তু নগরের কাছে লুম্বিনি উদ্যানে জন্ম নেন গৌতম বুদ্ধ।

রোববার সকালে জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর প্রদীপ প্রজ্বালন, প্রারম্ভিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীকালে বুদ্ধপূজা, শীল গ্রহণ ও অষ্টপরিষ্কার দান করা হয়। সারা দেশ থেকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা আসেন অনুষ্ঠানে।

‘জগতের সব প্রাণী সুখী হোক’–এ অহিংস বাণীর প্রচারক গৌতম বুদ্ধের আবির্ভাব, বোধিপ্রাপ্তি আর মহাপ্রয়াণের স্মৃতিবিজড়িত দিনটিকে বুদ্ধপূর্ণিমা হিসেবে পালন করেন বুদ্ধভক্তরা। দুই বছর পর বৌদ্ধ সম্প্রদায় তাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধপূর্ণিমা উদ্‌যাপন করতে পেরে খুশি।

তারা বলেন, ‘প্রার্থনা করি সব প্রাণী সুখী থাকুক। সবাই যেন দুঃখ থেকে মুক্তি পায়। এটা শুধু নিজেদের ধর্মের মানুষের জন্য নয়, আমরা বিশ্ববাসীর জন্য প্রার্থনা করি।’

যুদ্ধ নয়, সারা বিশ্বে শান্তি বিরাজমান হোক–এমনটাই প্রত্যাশা করেছেন ঢাকা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহারের অধ্যক্ষ।

আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত ধর্মমিত্র মহাথের বলেন, ‘পাপ কাজকে বিতাড়িত করে আমাদের অন্তর্জগতে কেউ চিত্ত বলে, কেউ মনে বলে, যেটাকে দেখানো যায় না, সেটা কেবল অনুভূতি দিয়ে প্রকাশ করা যায়, তাই প্রত্যেকে ভালো চিন্তা করেন, এটাই হচ্ছে বুদ্ধের মূল নীতি।’

দিনটিকে কেন্দ্র শান্তির বার্তা ও অহিংসা পরম বাণীকে ধারণ করে মানুষসহ পৃথিবীর সব প্রাণীর সুখ ও শান্তি কামনা করেছেন বুদ্ধভক্তরা।

এসএইচ-১০/১৫/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)