ব্যাংক কার্ডধারীদের জন্য শঙ্কার খবর!

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিজের অজান্তেই কিংবা বেখেয়ালি কিছু ভুলের কারণে দেশের অনেক কার্ডধারীর তথ্য চলে যাচ্ছে ইন্টারনেট জগতের অন্ধকার জগৎ ডার্ক ওয়েবে। এতে সহজেই বিপদে পড়তে পারেন কার্ডধারীরা।

বলা হয়ে থাকে, এমন কোনো কুকর্ম নেই, যা ডার্ক ওয়েবে হয় না। সেই ওয়েবেই চলে যাচ্ছে ব্যাংক কার্ডের মতো স্পর্শকাতর সব তথ্য। তথ্য ফাঁসের জন্য দায়ী করা হয়েছে, গ্রাহকের অসচেতনতা ও ব্যাংকের দুর্বল সাইবার নিরাপত্তাব্যবস্থাকে।

বিজিডি ই-গভর্নমেন্ট কম্পিউটার ইনসিডেন্স রেসপন্স টিম (সার্ট) নামের সরকারি সংস্থার গবেষণায় দেখা গেছে, ক্লাসিক ক্যাটাগরির ৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ, গোল্ড ৩১ দশমিক ২৪ শতাংশ, প্লাটিনাম ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ ও প্রিপেইডের ৫ দশমিক ৩ শতাংশ কার্ডের তথ্য ডার্ক ওয়েবে পাওয়া গেছে। ডার্ক ওয়েবে পাওয়া বেশির ভাগ কার্ডের পাসওয়ার্ড দুর্বল বলে জানিয়েছে সার্ট।

এ ব্যাপারে সার্টের পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, করোনা মহামারির পর থেকে দেশে কার্ডে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। মানুষ অনলাইনে প্রচুর কেনাকাটা করছে। দুর্বল কম্পিউটিং সিস্টেম বা ডিভাইসের নিরাপত্তাজনিত দুর্বলতায় অনেকের কার্ডের তথ্য ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে।

তারেক বলেন, বেশ কিছু ব্যাংকের নেটওয়ার্কিং পদ্ধতি, নিম্নমানের ডিভাইসের ব্যবহার, হালনাগাদ ব্যবস্থাপনা না থাকায় ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। এ অবস্থায় ব্যাংকগুলোকে নিজেদের শক্তিশালী নিরাপত্তাব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। গ্রাহকদের সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। পাশাপাশি গ্রাহকদের নিজ থেকেই সতর্ক হতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, গত মে পর্যন্ত ডেবিট কার্ডের সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৭১ লাখ ৬৯ হাজার ১৫০টি, ক্রেডিট কার্ড ১৯ লাখ ৪১ হাজার ১৬২টি ও প্রিপেইড কার্ড ১৬ লাখ ৩৯ হাজার ২৯০টি। মে পর্যন্ত ডেবিট কার্ডে ২৬ হাজার ৫০ কোটি, ক্রেডিট কার্ডে ২ হাজার ৩৭১ কোটি ও প্রিপেইড কার্ডে ১৭৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।

প্রায় এক বছর ধরে সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক এ ধরনের গবেষণা করে আসছে সার্ট। সার্ট সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছে। তারা সাইবার নিরাপত্তা-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ঘটনা বিশ্লেষণ করে।

এসএইচ-০৮/২২/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)