খুচরা বিক্রেতাদের অজুহাত রুখতে ওয়েবসাইটে দেয়া হবে চালের মিলগেট দাম

সরকার ও মিল মালিকরা পরিপূরক প্রতিপক্ষ নয় বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, খুচরা বিক্রেতাদের অজুহাত রুখতে ওয়েবসাইটে দেয়া হবে চালের মিলগেট দাম। ওয়েবসাইটে মিলগেটে বিক্রীত চালের দাম দেয়া থাকলে খুচরা বিক্রেতা মিথ্যা অজুহাত দিয়ে চালের দাম বেশি নিতে পারবেন না।

শনিবার দুপুরে ঢাকার একটি স্থানীয় হোটেলে বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, মিল মালিকরা কখন, কোথায় এবং কতটুকু চাল বিক্রি করেন, তারা (মিল মালিক) ছাড়া কেউ জানেন না। খুচরা বিক্রেতারা চালের দাম বাড়িয়ে দিয়ে সোজা আঙুল তোলে মিল মালিকদের দিকে। তখন মিল মালিকরা চুপ করে থাকেন, কোনো প্রতিবাদ করেন না। এর ফলে সবার মধ্যে ধারণা কাজ করে যে মিল মালিকরা দাম বাড়াচ্ছেন।

এ সময় তিনি তেলের দাম বৃদ্ধির দোহাই দিয়ে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৬ টাকা চালের দাম বৃদ্ধির সমালোচনা করেন।

চুক্তি করেও যারা সরকারি গুদামে চাল সরবরাহ করতে পারেননি, তারা যদি যৌক্তিক কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেন, তাহলে বিবেচনা করা হবে। তবে চাল প্রকিউরমেন্টে সরকারকে সহায়তাকারী আর অসহায়তাকারী মিল মালিককে সমানভাবে পরিমাপ করা হবে না বলে উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।

সরকারি ধান, চাল সংগ্রহে কম মূল্য দেয়া হয়–এমন এক বক্তব্যের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ১১টি মন্ত্রণালয়সহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে দাম নির্ধারণ হয় এবং সেটা যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে করা হয়।

বোরো সংগ্রহে ধান-চালের দাম সঠিক ছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সে কারণে কৃষক ন্যায্যমূল্য পেয়েছে। প্রকিউরমেন্টও শতভাগের বেশি হয়েছে। আমন সংগ্রহের সময় ডিজেল, সার ও বিদ্যুতের দাম বিবেচনা করে মূল্য নির্ধারণ করা হবে।

বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সভাপতি মো. আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন ও খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন।

এ সময় সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের বাজারে মিনিকেট নামে চাল নেই। অনেকে বলেন মিলাররা চাল কেটে সরু করেন। এটা সত্য নয়। চাল সরু করতে গেলে ভেঙে যায়। তবে বিভিন্ন মেশিনের মাধ্যমে পোলিশ করে চকচকে করা হয়। এ সময় তিনি ধান-চালের দাম নির্ধারণে মিলারদের প্রতিনিধি রাখার অনুরোধ জানান।

এ ছাড়া খাদ্যসচিব ইসমাইল হোসেন বলেন, মিলারদের প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভোক্তাদের কাছে জানিয়ে দিতে হবে যে মিলগেটে আজ কত টাকা দামে চাল বিক্রি হলো। তাহলে খুচরা বিক্রেতা যে দাম বাড়ানোর জন্য মিলারদের দোষ দেয়, সেটা থেকে মিলাররা মুক্তি পাবেন।

এসএইচ-০৮/১০/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)