শেখ হাসিনার অপেক্ষায় রাজশাহী

প্রায় পাঁচ বছর পর আগামী রোববার রাজশাহী আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে রাজশাহী সেজেছে নতুন সাজে। নেতাদের ছবি সংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন ও তোরণে ভরে গেছে পুরো শহর। ছিমছাম সাজানো-গোছানো শহরটিকে সাজানো হয়েছে আরও দৃষ্টিনন্দন করে। সড়ক বিভাজকগুলোতে নতুন করে রং করা হয়েছে। পদ্মাপারের শহরটির এখানে-ওখানে দেখা মিলছে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকাও।

রোববার সকালে শেখ হাসিনা রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে যাবেন। সেখানে তাঁর নবীন বিসিএস পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করার কথা রয়েছে। ওই দিন বিকেলে রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের জনসভায় অংশ নিয়ে ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা।

আজ শুক্রবার সকালে মাদ্রাসা ময়দানে গিয়ে দেখা গেছে, মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। মাঠও প্রস্তুত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ প্রচার করতে শহরজুড়ে আগেই লাগানো হয়েছে মাইক। আজ সকালে মাইক লাগানোর কাজ চলছিল মাঠে। মাঠের পরিধি বড় করতে দক্ষিণ পাশের সীমানা প্রাচীরটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের পক্ষ থেকে মাঠের পাশে বসানো হয়েছে অস্থায়ী টয়লেট। রাজশাহী ওয়াসা ব্যবস্থা করেছে পানি সরবরাহের। মাঠের চারপাশে ইতিমধ্যে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গড়ে তুলেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শহরজুড়েও চলছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর টহল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাদ্রাসার মাঠ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীতে বাস্তবায়িত ২৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। এ ছাড়া ছয়টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি। আজ দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা মাদ্রাসা মাঠে গিয়ে জনসভার প্রস্তুতি পরিদর্শন করেন। এ সময় আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল বলেন, ‘আগামী রোববার একটি ঐতিহাসিক দিন হতে যাচ্ছে। এই জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী, যিনি সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তিনি এই উত্তর জনপদের মানুষের মাঝে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন।’

মাঠ পরিদর্শনের সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠাণ্ডু, বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারা, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি আদিবা আনজুম মিতা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মাঠ পরিদর্শনের সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘শহীদ কামারুজ্জামানের স্মৃতিবিজড়িত রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসছেন। সেদিন মাদ্রাসা ময়দান ছাপিয়ে সমগ্র রাজশাহী এক উত্তাল জনসমুদ্রে পরিণত হবে। এর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সারা উত্তরবঙ্গের মানুষ এখন অপেক্ষায় তাঁরা কখন জনসভায় রওনা করবেন। এই জনসভায় প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেবেন।’

নানক আরও বলেন, ‘রাজশাহী মহানগর একসময় ধুলোচরের শহর ছিল। আজ এটি আধুনিক মহানগরী। সারা দেশে উন্নয়নের যে জোয়ার, সেই জোয়ারের সঙ্গে রাজশাহীও সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাতেই মানুষের ঢল নামবে।’

এসএ-২৭/০১/২৩ (জাতীয় ডেস্ক)