জেদ্দা হয়ে ঢাকায় পৌঁছেছেন ১৩৫ বাংলাদেশি

যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদান থেকে সৌদি আরবের জেদ্দা হয়ে ঢাকায় পৌঁছেছেন ১৩৫ বাংলাদেশি। আজ সোমবার সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তারা।

এদিকে দেশে ফেরার অপেক্ষায় ৬৫০ বাংলাদেশি বর্তমানে পোর্ট সুদানে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে জাহাজে সৌদি আরবের জেদ্দায় পৌঁছানোর অপেক্ষায় ছিলেন তারা। সময়মতো জাহাজ না পাওয়ায় তাদের মধ্যে ১৩৫ জনকে তিন দফায় বিমানে করে জেদ্দা পাঠানো হয়।

প্রথম দফায় পোর্ট সুদান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪৫ জন রওনা হন। এ ছাড়া আরও দুটি বিমানে বাকিরা জেদ্দা পৌঁছান। গতকাল স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার দিকে সৌদি সামরিক বাহিনীর দুটি উড়োজাহাজে জেদ্দা শহরে পৌঁছান তারা।

সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী আমাদের সময়কে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এ সময় জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হকও উপস্থিত ছিলেন।

তবে সুদানে আটকেপড়া বাকিদের কীভাবে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। দেশে ফেরানোর ক্ষেত্রে নারী, শিশু ও বয়স্কদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

জাবেদ পাটোয়ারী জানান, সুদান থেকে আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের আজ (রোববার) রাত ১টার ফ্লাইটে ঢাকায় পাঠানো হবে। দেশে ফিরতে যারা নিবন্ধন করেছেন পর্যায়ক্রমে তাদের সবাইকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।

সুদানফেরত বাংলাদেশিদের বিশ্রামের জন্য জেদ্দা বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ইংরেজি সেকশনে বিশ্রাম, খাবার ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত। বিমানবন্দরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী তাদের স্বাগত জানান।

এদিকে জেদ্দা পৌঁছানো বাংলাদেশিদের দ্রুত ফেরানোর জন্য রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী গত মঙ্গলবার সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

গত ১৫ এপ্রিল থেকে সুদানে বড় ধরনের সংঘাত চলছে। দেশটিতে দেড় হাজার প্রবাসী বাংলাদেশির মধ্যে ৭০০ জন দেশে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এদের মধ্যে প্রায় ৬৫০ বাংলাদেশি বর্তমানে পোর্ট সুদানে অবস্থান করছিলেন।

সুদানের রাজধানী খার্তুম থেকে পোর্ট সুদান বন্দরে নেওয়া হয় এসব বাংলাদেশিকে। সেখান থেকে জাহাজে করে সৌদি আরবের জেদ্দায় পৌঁছানোর অপেক্ষায় ছিলেন তারা।কিন্তু সময়মতো জাহাজ না পাওয়ায় বিমানে করে ১৩৫ জনকে জেদ্দা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।

এ ক্ষেত্রে নারী, শিশু ও বয়স্কদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সুদানের পরিস্থিতি অনিরাপদ হওয়ায় বাকিদেরও ফিরে আসতে বাংলাদেশ সরকার অনুরোধ জানিয়েছে।

এসএইচ-০৬/০৮/২৩ (ন্যাশনাল ডেস্ক)