যে শাস্তি পেতে পারেন তারেক-জোবায়দা

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার রায় আগামী ২ আগস্ট ধার্য করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত এ মামলার যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এদিন ধার্য করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, এ মামলায় ২৬(২) ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি তিন বছরের কারাদণ্ড ও ২৭(১) ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি দশ বছরের সর্বোচ্চ কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। সেক্ষেত্রে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের সর্বোচ্চ ১৩ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, সম্পদ বিবরণী দাখিলের পর তারা আর আইনের আশ্রয় গ্রহণ করেননি। জনগণ, দেশ ও জাতি কেউ এটা আশা করেনি। কারণ তার উচিত ছিল আদালতে উপস্থিত হয়ে এই মামলাটাকে ফেস করা এবং আইনের আশ্রয় নেয়া। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছে। সেটার জন্য গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। তারপর থেকে তাদের আইনজীবীরা তাদের অবর্তমানে আইনি সাহায্য করেছে।

তিনি বলেন, মামলাটি শুরু হয়েছে ৪ কোটি ৮১ লাখ টাকা দিয়ে কিন্তু পরবর্তীতে সকল পর্যালোচনা করে সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ১৮টা এক্সিবিটের মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি ২ কোটি ২৩ লাখ টাকা তার অবৈধ উপার্জন এবং ৫৮ লাখ টাকার তথ্য গোপন করেছেন।

এর আগে গত সোমবার (২৪ জুলাই) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে দুদকের উপ-পরিচালক তৌফিকুল ইসলামের সাক্ষ্য শেষ হওয়ায় আগামী ২৭ জুলাই মামলার যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। আইন অনুযায়ী যুক্তি উপস্থাপন শেষ হলে রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করা হবে। এ মামলায় ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে এ নিয়ে মোট ৪৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে মামলা হয়। দুদকের উপ-পরিচালক জহিরুল হুদা এই মামলাটি দায়ের করেন। এতে তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকেও মামলায় আসামি করা হয়। এরপর ২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম। এ মামলায় ইকবাল মান্দ বানুকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

২০২২ সালের ১ নভেম্বর অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে প্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এরপর ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

এসএইচ-০৮/২৭/২৩  (ন্যাশনাল ডেস্ক)