হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বাড়ল ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত

হজযাত্রীদের নিবন্ধনের সময় আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

রোববার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সৌদি সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত অনুসারে, ২০২৪ সালের হজযাত্রীর চূড়ান্ত তালিকা আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।

এ ছাড়া ২০২৪ সালের হজে মিনার তাঁবু এলাকায় ৫টি জোনে এবং প্রতিটি জোনকে চারটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করা হয়েছে।
আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে মিনায় তাঁবু বরাদ্দ প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত হজযাত্রীর সংখ্যা পাওয়া না গেলে মিনায় কাঙ্ক্ষিত স্থানে তাঁবু পাওয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে মিনায় জামারাহ’র নিকটবর্তী এলাকার পরিবর্তে দূরবর্তী, নিউ মুযদালিফা ও পাহাড়ি এলাকায় তাঁবু নিতে হবে। এরূপ পরিস্থিতি এড়ানোর স্বার্থে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় চূড়ান্তভাবে বাড়ানো হলো। এরপর আর সময় বাড়ানো হবে না।

সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাক-নিবন্ধিত যাত্রীদের হজের নিবন্ধন করতে পারবেন, সরকারি মাধ্যম ও এজেন্সির জন্য নির্ধারিত কোটা পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিবন্ধন সার্ভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। সরকারি মাধ্যমে এ প্যাকেজে দুই লাখ পাঁচ হাজার টাকা সোনালি ব্যাংকে জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন করা যাবে। প্যাকেজের অবশিষ্ট টাকা ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবশ্যিকভাবে একই ব্যাংকে জমা দিতে হবে। প্রাথমিক নিবন্ধনের পর অবশিষ্ট টাকা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দিতে ব্যর্থ হলে তিনি হজে যেতে পারবেন না এবং দুই লাখ পাঁচ হাজার টাকা মক্কা-মদিনায় বাড়িভাড়া ও মোয়াল্লেম ফি বাবদ ব্যয় হবে বিধায় ওই টাকা ফেরত দেওয়া হবে না।

প্রজ্ঞাপনে আরো উল্লেখ আছে, হজযাত্রীর নিবন্ধনের ক্রম অনুসারে সরকারি মাধ্যমের ভাড়াকৃত বাড়ির মধ্যে হারাম শরীফ হতে অপেক্ষাকৃত কাছের বাড়ি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ দেওয়া হবে। প্রাথমিক নিবন্ধনের অর্থ জমা দেওয়ার পর প্যাকেজ পরিবর্তনের কোনো সুযোগ থাকবে না। সরকারি মাধ্যমের সাধারণ হজ প্যাকেজে ট্রেন ব্যতীত নিবন্ধনের অপশন বাতিল করা হলো।

বিমান ভাড়া ও সৌদি আরবের ব্যয় বাবদ দুই লাখ পাঁচ হাজার টাকা জমা দিয়ে বেসরকারি এজেন্সিতে প্রাথমিক নিবন্ধন করা যাবে।
হজ এজেন্সির মাধ্যমে প্রাক-নিবন্ধন ফি ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ হাজার ৭৫২ টাকার পরিবর্তে ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হলো। হজ এজেন্সির নির্ধারিত ব্যাংক হিসাব ব্যতীত প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধনের টাকা কোনো ব্যক্তির কাছে নগদ দেওয়া যাবে না এবং হজ এজেন্সিও নগদ অর্থ নিতে পারবে না। হজ কার্যক্রমের সব সেবা ও প্যাকেজ মূল্য বিস্তারিত উল্লেখপূর্বক হজযাত্রী ও এজেন্সির মধ্যে লিখিত চুক্তি সম্পাদন করতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে কোনো পক্ষের অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হবে না। হজে গমনের শর্তাবলি, করণীয় ও হজযাত্রীর সুযোগ-সুবিধা হজ প্যাকেজ ২০২৪ থেকে বিস্তারিত জানা যাবে।

এআর-০৩/১০/১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)