দেশি ২১০-২৪০ টাকা কেজি, অর্ধেক দামে নতুন পেঁয়াজ

পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার খবরে দেশের বাজারে হঠাৎ করেই পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।

রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পুরোনো দেশি পেঁয়াজের খুচরা মূল্য ছিল ২২০-২৫০ টাকা কেজি।

অথচ গত বৃহস্পতিবারও ১৩০ টাকা কেজিদরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ঢাকার বাজারে।

এ অবস্থায় বাজার যখন গরম, ঠিক এ সময় বাজারে চলে এসেছে দেশি নতুন পেঁয়াজ। আরও কয়েকদিন পরে তোলার কথা থাকলেও, বাজারে চাহিদা থাকায় কৃষকরা একটু আগেই তুলে ফেলছেন নতুন পেঁয়াজ।

রোববার থেকে ঢাকায় আসতে শুরু করেছে নতুন পেঁয়াজ। আজ সোমবার এ পেঁয়াজ পাইকারিতে ১১০ এবং খুচরা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকার কারওয়ান বাজার, মিরপুর, শ্যাওড়াপাড়ার বিভিন্ন পাইকারি বাজার ঘুরে এমন তথ্য দেখা গেছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, রোববার ঢাকার কারওয়ান বাজারে দেশি পুরোনো পেঁয়াজের পাইকারি মূল্য আগের দিনের চেয়ে অন্তত ৫ টাকা কমে ১৯৫-২০০ টাকা কেজি হয়।

সোমবার এই পেঁয়াজের খুচরা মূল্য ২১০-২৪০ টাকা কেজি।

এদিকে, ভারতীয় পুরোনো পেঁয়াজের পাইকারি মূল্য ১৬৫-১৭০ টাকা কেজি এবং খুচরা মূল্য ১৮০-২০০ টাকা।

ব্যবসায়ীরা জানান, নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসায় এবং মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় কিছুটা কমে আসছে দাম।

কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মাতৃভাণ্ডার এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সজীব শেখ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘হঠাৎ করে ভারতের নিষেধাজ্ঞার খবর পেয়ে সবাই পেঁয়াজ স্টক করে ফেলেছিল। অনেক আরও বেশি দামে বিক্রি করার চেষ্টা করছিল।’

‘কিন্তু দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসা শুরু করেছে। পাশাপাশি মিয়ানমার থেকেও পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। এসব পেঁয়াজের পাইকারি মূল্য ১০০ টাকা পর্যন্ত নেমে আসবে এবং দেশি পেঁয়াজ বাজারে পর্যাপ্তভাবে আসা শুরু করলে দাম আরও কমবে,’ বলেন তিনি।

বাজারে শিগগির চীনা পেঁয়াজও আসবে বলে জানান তিনি।

আজ সকালে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী আরিফ হোসেনকে পাইকারিতে ১১০ টাকা কেজি দরে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা যায়, আর খুচরা বিক্রি করছেন ১২০ টাকায়।

তিনি বলেন, ‘কৃষকরা নতুন পেঁয়াজ তুলতে শুরু করে দিয়েছেন। ফরিদপুর থেকে পেঁয়াজ আসতেছে। পেঁয়াজগুলোর আকার আরেকটু বড় হওয়ার কথা। কিন্তু, বাজারে হঠাৎ চাহিদা তৈরি হওয়ায় কৃষক খেত থেকে পেঁয়াজ তুলে ফেলছে।’

এসএইচ-০৩/১১/২৩ (ন্যাশনাল ডেস্ক)