প্রেমিকার ওপর অভিমান করে প্রেমিকের আত্মহত্যার

গোপন প্রেম একসময় আর গোপন থাকেনা। জানাজানি হওয়ায় সমাজ-সংসারের নানা কটু কথা শুনতে হয়। তেমনটি ঘটেছে নাটোরের গুরুদাসপুরের প্রেমিক সোহাগ হোসেনের ক্ষেত্রেও। লোকলজ্জায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এই যুবক।

আর তার আত্মহত্যার খবরে আত্মহত্যার চেষ্টা টালিয়েছে তার প্রেমিকা।

স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ছয় মাস আগে গুরুদাসপুর পৌর এলাকার আনন্দনগর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছোট ছেলের সাথে পাশ্ববর্তী মহল্লার কলেজ পড়ুয়া মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

সোহাগ ও মেয়েটি পড়ালেখার সুবাদে রাজশাহীতে অবস্থান করতো। সম্প্রতি তারা বাসায় এসে বৃহস্পতিবার সকালে সবার অগোচরে চলনবিল অধ্যুষিত বিলশা বিলে বেড়াতে যায়।

বিষয়টি এলাকার অনেকের চোখে পড়লে তা মেয়েটির বাড়িতে জানিয়ে দেয়া হয়। পরে বিকেলে মেয়েটি বাসায় ফিরলে বাড়ির লোকজন তাকে বকাঝকা করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

উপায়ান্তর না দেখে মেয়েটি তার প্রেমিক সোহাগের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবু জানায়। বিয়ে না করলে সে আত্মহত্যা করবে বলে ঘোষণা দেয়।

প্রেমিকার জিদে পরিবারের নানা কথায় সোহাগ বিয়ে করবে না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।

পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক ও দুই পরিবারের সমঝোতার মাধ্যমে তাদের দু’জনের বিয়ের সিন্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

এরই ফাঁকে মুরুব্বীদের সামনে ছোট হওয়াসহ প্রেমিকার জিদের কারণে অভিমান করে সোহাগ পাশেই তার চাচার বাড়িতে গিয়ে রাত ১১টার দিকে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে।

প্রেমিকের আত্মহত্যার কথা শুনে একেবারেই ভেঙ্গে পড়ে মেয়েটি। শুক্রবার সকালে হারপিক খেয়ে সেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে।

পরে মেয়েটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে মেয়েটি আশঙ্কা মুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাহারুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে একটি ইউডি মামলা হয়েছে।

কোন অভিযোগ না থাকায় সোহাগের মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বিএ-০৮/০৪-১০ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)