মৃত্যুর ৭ বছর পর জীবিত হলেন সামাদ!

জীবিত থেকেও সরকারের হিসাবে ৭ বছর ধরে মৃত ছিলেন নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার লক্ষণ হাটি গ্রামের কৃষক আব্দুস সামাদ। জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার তালিকায় মৃত থাকায় বিভিন্ন সুবিধা ও করোনার টিকা গ্রহণ করতে পারেননি তিনি।

এছাড়া গত ৭ বছর ধরে ভোটাধিকার প্রদান করতে পারেননি তিনি। ২ দফায় আবেদনের পর ২৩ অক্টোবর জীবিত হয়েছেন তিনি।

ভুক্তভোগী আব্দুস সামাদের ছেলে ফজলুর রহমান সময় নিউজকে বলেন, ২০১৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাচনে ভোট প্রদান করতে গেলে তার বাবা মৃত দাবি করে ভোট প্রদান করতে দেওয়া হয়নি। এরপর বিষয়টি সমাধানে উপজেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করা হলে কোনো ফল পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে বিভিন্ন কাজের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করতে পারেননি তিনি। এর প্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ৭ মার্চ দ্বিতীয় দফায় আবার আবেদন করেন তার বাবা। আবেদনের প্রায় দেড় বছর পর গত ২৩ অক্টোবর তার বাবার হাতের ও চোখের প্রিন্ট গ্রহণ করে বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাচন অফিস। ফিঙ্গার প্রিন্ট প্রদানের পর ২৩ অক্টোবর বিকেলে করোনার টিকার রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ হয়েছে বলে জানান তিনি।

ভুক্তভোগী আব্দুস সামাদ বলেন, ১৯৭০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ২০০৮ সালে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র পান। তার নাগরিক পরিচিতি নম্বর ছিল ৬৯২০৯০৬৬৯১০৯০। তিনি জীবিত থেকেও মৃত দেখানোর কারণে তার কিছুটা ক্ষোভ থাকলেও সমস্যার সমাধান হওয়ায় সন্তুষ্ট তিনি।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, ২৩ অক্টোবর থেকে তার জাতীয় পরিচয়পত্রের সমস্যার সমাধান হয়েছে। তাই এ বিষয়ে আর মন্তব্য করতে চাননি।

এসএইচ-২৪/০৫/২১ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)