রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) দুই দিনব্যাপী ‘চতুর্থ ইলেকট্রিক্যাল, কম্পিউটার অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং-আইসিইসিটিই-২০২২’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শেষ হয়েছে।
আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় রাজশাহী নগরীর সীমান্ত অবকাশে বর্ণাঢ্য এক সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই সম্মেলন শেষ হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- রুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন। তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম মণ্ডলের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- প্রফেসর ড. মো. নাসিম আকতার। এর আগে সম্মেলনের প্রথম দিন (গত শুক্রবার) ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শনিবার রাজশাহী নগরীর সীমান্ত অবকাশে বর্ণাঢ্য এক সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সম্মেলন শেষ হয়।
এ সময় তিনি বলেছেন, ‘বর্তমানে দেশের ১২ কোটি মানুষ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতায় রয়েছে। আগামী বছরের মধ্যে দেশে ১ লাখ ১০ হাজার গ্রামীণ প্রতিষ্ঠান অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড কানেকশনের আওতায় আসবে। এর মধ্যে ৭০ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেওয়া হবে এই সংযোগ।’
রুয়েটের তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের আয়োজনে আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের প্রায় ৪৬৫ জন গবেষক, শিক্ষক, প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদ অংশ নিয়েছিলেন। সম্মেলনে ৬৯টি টেকনিক্যাল পেপার ও ৬টি কী-নোট পেপার উপস্থাপন করা হয়। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন শনিবার দিনব্যাপী রুয়েটের বিভিন্ন হলরুমে ৪টি ইনভাইটেড টক, একটি ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিকেল সাড়ে ৫টায় নগরীর সীমান্ত অবকাশে অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে সেরা ৩টি পেপারকে সম্মাননা স্মারক ও সনদ দেওয়া হয়।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ২০৩৫ সালের পরপরই আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সবচেয়ে বড় খাত হবে আইসিটি সেক্টর। যেটি গার্মেন্টস সেক্টরকেও অতিক্রম করবে। প্রায় ২০ লাখ মানুষ আইসিটি সেক্টরে এখন কাজ করে। আগামী ৩ বছরের মধ্যে এটি হবে ৫০ লাখ। এ ছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় এক কোটি মানুষ আইসিটি সেক্টরে কাজ করবে।
বক্তারা বলেন, এখন পর্যন্ত দেশের ১ লাখ ১৫ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম এবং ১৩ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপিত হয়েছে। প্রত্যেক উপজেলা থেকে শেখ রাসেল স্কুল অব ফিউশনে শিক্ষার্থী যাচ্ছে। এ ছাড়া হবে জয় ডিসেন্ট সেন্টার। যেখানে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের আধুনিক সব প্রযুক্তি শেখানো হবে। ইতোমধ্যেই দেশে ১০টি হাইটেক পার্কের কাজ চলমান রয়েছে। আগামী ৭ বছরের মধ্যে এই সংখ্যা প্রায় ১০০ তে উন্নীত হবে। হাইটেক পার্কের উদ্যোগে রুয়েটে একটি ইনোভেশন হাব এর কাজ চলমান রয়েছে।
এলএস-০৪/০১/০১ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)