চিনি-ফিটকিরি-রং দিয়ে তৈরি হচ্ছে গুড়

নাটোরের গ্রামাঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে চিনির সিরাপ, ফিটকিরি, রংসহ নানা উপকরণ মিশিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল গুড় তৈরি, সংরক্ষণ ও বাজারজাত করার অভিযোগে ছয় ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে।

তাদের কারখানা থেকে ১৫ হাজার ৫০০ কেজি ভেজাল গুড় ও ৩৪ হাজার লিটার ভেজাল চিনির সিরাপ জব্দ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) র‌্যাবের দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে বুধবার (১৮ জানুয়ারি) জেলার গুরুদাসপুর ও সিংড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ভেজাল গুড় ও ভেজাল চিনির সিরাপ জব্দ করা হয়েছে।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৫) সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্প কোম্পানি অধিনায়ক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ হোসেন ও কোম্পানি উপ-অধিনায়ক, সহকারী পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম এবং জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান তানভীর।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার জেলার গুরুদাসপুর থানার কুমারখালী গ্রামে এবং সিংড়া থানার চকবলরামপুর গ্রামে পৃথক দুইটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় গুরুদাসপুরের মেসার্স ভাই ভাই ট্রেডার্সের মালিক মো. আব্দুল হান্নান শেখকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, সিংড়ার সোহেল গুড় ভাণ্ডারের মালিক মো. সোহেল রানাকে (৩৪) ২০ হাজার টাকা, নুরুজ্জামান গুড় ভাণ্ডারের মালিক মো. নুরুজ্জামান ইসলামকে (৫০) ৩৫ হাজার টাকা, আজহারুল গুড় ভাণ্ডারের মালিক মো. আজহারুল ইসলামকে (৪৭) ২৫ হাজার টাকা, তফিকুল গুড় ভাণ্ডারের মালিক মো. তৌফিকুল ইসলামকে (৪৫) ১৫ হাজার টাকা ও শাহিন গুড় ভাণ্ডারের মালিক মো. শাহাদাৎ হোসেন শাহিনকে (৪২) ১৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসব কারখানা থেকে ১৫ হাজার ৫০০ কেজি ভেজাল গুড় ও ৩৪ হাজার লিটার ভেজাল চিনির সিরাপ জব্দ করা হয়েছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নির্দেশক্রমে জব্দকৃত ভেজাল গুড় ও সিরাপ ধ্বংস করা হয়। এছাড়া জরিমানাকৃত সর্বমোট ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে।

র‌্যাব-৫ সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্প কোম্পানি অধিনায়ক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ হোসেন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এলএস- ০৫/১৯/০১ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)