প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় তিল ধারণের ঠাঁই থাকবে না: লিটন

আগামী ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাস্থল ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠ প্রস্তুত করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠ পরিদর্শন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

এ সময় মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর ও প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব-৩ হাসান জাহিদ তুষারসহ প্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীর মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখার জন্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা এতটাই বেশি দৃশ্যমান হয়েছে, মানুষ এখন সরাসরি তা দেখতে পাচ্ছে, তার সুফল ভোগ করছে। সারাদেশের মতো আমাদের রাজশাহী বিভাগেও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। পাবনার রূপপুরে ২৪০০ মেগাওয়াটের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে, এ বছরের মধ্যে তার প্রথম পর্ব চালু হয়ে যাবে-ইনশাআল্লাহ। একইসঙ্গে হাটিকুরুল থেকে বাংলাবান্ধা সীমান্ত পর্যন্ত ফোরলেন সড়ক নির্মাণকাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এছাড়া নদী ড্রেজিং, চারঘাট-বাঘা এলাকায় প্রায় ৭৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে নদীর ধার বাধাই করার কাজ চলমান রয়েছে, রাস্তা প্রশস্তকরণ চলছে এবং শুধুমাত্র রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকার উন্নয়নের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী প্রায় দুই হাজার ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলেন, সেই মেগা প্রজেক্টের কাজ চলছে। সিটির বাইরে অন্যান্য গ্রামীণ যে জনপদ আছে, সেখানে অসংখ্য আধুনিক স্কুল-কলেজ, প্রাইমারি চিকিৎসাকেন্দ্রে সেবা পাচ্ছে এবং সিটির বাইরে গ্রামীণ জনপদের মানুষের যে সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন, তা পাচ্ছে।

খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করার লক্ষ্যে ১ জানুয়ারি থেকেই আমরা প্রস্তুতি শুরু করেছি। মহানগর পর্যায় ও জেলা পর্যায়ে সভা করেছি, বিভিন্ন কমিটিগুলো করেছি। এরপর বিভাগীয় পর্যায়ে আমাদের নয়টি সাংগঠনিক জেলা, তাদের নিয়ে কমিটি গঠন করেছি। স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে সভা করেছেন। আগামী ২১ জানুয়ারি যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ রাজশাহীতে আসবেন, তারাও বিভাগীয় পর্যায়ে মিটিং করবেন। আমরা পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতেও যাচ্ছি, প্রতিটি জেলাতেই আমরা ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। যতদিন যাবে আমাদের প্রস্তুত ততবেশি ব্যাপকভাবে অনুভূত হবে। এ মাদ্রামা মাঠ শুধু নয়, মাঠের পাশে যে ঈদমাঠ আছে সেটিসহ পুরো শহর লোকে লোকারণ্য হবে। মাঠ কানাই কানাই পরিপূর্ণ হয়ে শহরে তিল ধারণের ঠাঁই থাকবে না।

মাঠ পরিদর্শনকালে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য আখতার জাহান, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকার, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এলএস- ০৪/২০/০১ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)