জয়পুরহাটে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

জয়পুরহাটে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে জইমুদ্দিন (৫৮) নামে একব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্বাস উদ্দীন এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সাজাপ্রাপ্ত আসামি জইমুদ্দিন জেলার আক্কেলপুর উপজেলার ভিকনী গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় তিনি পলাতক ছিলেন।

জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়, জইমুদ্দিন তাঁর স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে নিয়ে ঘরসংসার করাকালে মাঝেমধ্যে টুকটাক কলহ হতো। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০০২ সালের ১৯ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়। এরই জেরে একপর্যায়ে জইমুদ্দিন তাঁর স্ত্রী আনোয়ারাকে গাছের ডাল দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন। এরপর তিনি বাড়ির পাশের একটি পুকুরে স্ত্রী আনোয়ারার লাশ ডুবিয়ে রাখেন। এ ঘটনার পরের দিন সকালে জইমুদ্দিন যথারীতি কাজ করতে বাইরে যান।

ওই দিন সকালে স্বজন ও প্রতিবেশীরা জইমুদ্দিনের বাড়িতে বেড়াতে এসে ঘরের ভেতরে আলু-পটোল ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকতে দেখেন। আনোয়ারা বাড়ির আশপাশেই আছেন ভেবে প্রতিবেশী ও স্বজনেরা তাঁকে খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু আনোয়ারার সারা পান না। একপর্যায়ে তাঁরা বাড়ির পাশের একটি পুকুরের পানিতে আনোয়ারার একটি পা ভেসে থাকতে দেখেন। এরপর তাঁরা লাশটি পুকুর থেকে তুলে আনেন এবং পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠান।

এ ঘটনায় নিহত আনোয়ারার ভাই আব্দুর রহমান বাদী হয়ে ২০০২ সালের ২০ আগস্ট আক্কেলপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০০২ সালের ২১ নভেম্বর আদালতে জইমুদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর দীর্ঘ শুনানি ও যাবতীয় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আজ সোমবার দুপুরে আদালত মামলার এ রায় ঘোষণা করেন।

এআর-১২/১২/০৬ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)