পাঁচদিনে ২২৬ কিলোমিটার পথ হেঁটে পাড়ি দিলেন বাবা-ছেলে

পারিবারিক সম্পর্ক মজবুত, দেশটাকে খুব কাছ থেকে দেখা আর হাঁটার মাধ্যমে শারীরিক সুস্থতা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে পাঁচ দিনে ২২৬ কিলোমিটারে পথ হেঁটে পাড়ি দিলেন গাইবান্ধার বাবা—ছেলে জুটি।

গত সোমবার সকালে গাইবান্ধা থেকে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে শুক্রবার বিকেলে উত্তর জনপদের প্রবেশ দ্বার পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধায় পৌঁছান তারা।

শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিটি মানুষের নিয়মিত হাঁটা প্রয়োজন। আর বাবা—ছেলের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে পারলে কঠিন কাজও সহজে করা সম্ভব। বাবা—ছেলের মধ্যে কোনো কারণে দূরত্ব তৈরি হলেই ঘটে বিপরীত চিত্র। একসাথে হাঁটা তো দূরের কথা এক ছাদের নিচে থাকাই দূরূহ হয়ে পড়ে। আর চির সবুজ-শ্যামল দেশটাকে কাছ থেকে দেখার মজা; সে তো অন্যরকম।

বাবা ছেলের সম্পর্ক আর আমাদের দেশের অপরূপ প্রকৃতির রূপ বাবার হাত ধরে দেখা সেই ছোট্ট বেলায় একসাথে চলার আনন্দই মনে করিয়ে দেয়। পারিবারিক সম্পর্ক আর দেশের প্রকৃতির এমন সম্পর্কগুলোকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে গাইবান্ধার অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী ক্যাপ্টেন (অনারারি) সাদেক আলী ও ব্যবসায়ী ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হেঁটে জনসচেতনতা সৃষ্টি করছেন। বাংলাবান্ধা ভ্রমণের আগে তারা ৩৭ বার একই লক্ষ্য নিয়ে পদভ্রমণ করেছেন।

অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সাদেক আলী সময় নিউজকে বলেন, কমান্ডোরা সব সময়ই কমান্ডো। চাকরি থেকে অবসর নিলেও প্রশিক্ষণ তো জমা দেইনি। বয়স বাড়লেও মনের জোর এখন রয়েছে।

বাবার হাত ধরে পথচলা ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান সময় নিউজকে বলেন, বাবার সাথে ছেলের সম্পর্ক নিবিড় ও বন্ধুত্ব সুলভ হলে হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়া যায় অনায়াসে। আর এ সম্পর্কে ফাটল ধরলে এক কিলোমিটার পথ দূরের কথা এক ছাদের নিচে থাকাই দায় হয়ে পড়ে।

বাবা—ছেলে সম্পর্ক মজবুত হলে পারিবারিক সম্পর্কও মজবুত হয়। আর এর মাধ্যমে সন্তানরা সকল প্রকার অনৈতিক কাজ থেকে নিজেদের মুক্ত রাখা যায় বলে মনে করেন ভ্রমণ পিপাসু এই বাবা ছেলে।

এসএইচ-১৩/১১/২২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)