ছাড় নয় খাদ্যে ভেজাল-মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধে

খাদ্যে ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের বিরুদ্ধে অভিযানের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি বলেছেন, যারা খাদ্যে ভেজাল দেন, অথবা মেয়াদোত্তীর্ণ ও অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রি করেন, তাদের সর্তক করছি।

এসব ব্যাপারে আমরা কঠোর এ্যাকশনে যাব। দলীয় কোনো বিষয় দেখা হবে না। জনগণের স্বার্থে, রাজশাহীর মানুষের স্বার্থে ঝুঁকি নিতে চাই। তবে অন্যায়ভাবে কাউকে ধরা হবে না।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় নগরভবনে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় রাউন্ড উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, বতর্মান সরকার স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দৌরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। সরকার ইউনিয়ন পর্যায়ে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মানুষের বিনামূল্যে ৩০ প্রকারের ওষুধ দিচ্ছে।

তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ভালো জায়গায় পৌঁছেছে। এরই ধারাবাহিকতায় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে রাসিক অনেকবার প্রথম হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবায় রাসিক দেশের মধ্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

মেয়র বলেন, এবার দেশে তৈরি ভিটামিন এ ক্যাপসুল শিশুদের খাওয়ানো হবে। এটি বতর্মান সরকার ও স্বাস্থ্যখাতের সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার ফলে সম্ভব হয়েছে।

রাসিক পরিচালিত সিটি হাসপাতালের উন্নয়নে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সিটি হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়ানো হবে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে হাসপাতালের পাশে ফাঁকা জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণ করে সেখানে গার্লস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হবে। সিটি হাসপাতালে সীমিত অর্থে মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে চাই। রাজশাহী-নাটোর রোড থেকে সিটি হাসপাতাল পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্তও করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন রাসিক মেয়র। মাদক, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্সের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাদক ব্যবসায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। মাদক নির্মূলে আগামী এক মাসের মধ্যে ওয়ার্ড পর্যায়ে কাউন্সিলর, শিক্ষক, ইমামসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে কমিটি গঠন করে দেয়া হবে।

সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূরুজ্জামান টুকুর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন টুনু, সচিব রেজাউল করিম ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এএফএম আঞ্জুমান আরা।

উল্লেখ্য, আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৩৮৪টি কেন্দ্রে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৭ হাজার ৯৭৬ এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৫৪ হাজার ৯৭৭ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। স্থায়ী ৩৪৩টি এবং ভ্রাম্যমাণ ৪১টি কেন্দ্রে সর্বমোট ৭৬৮ জন স্বেচ্ছাসেবী এ কাজে নিয়োজিত থাকবে।

বিএ-১৯/০৫-০২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)