প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেলেন মেয়র লিটন

রাজশাহীর সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনকে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে তিন মেয়রের মর্যাদা নির্ধারণ করে আদেশ জারি করা হয়েছে।

জানা গেছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আদেশে বলা হয়েছে, স্ব স্ব পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালীন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম মন্ত্রী এবং রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা, বেতন-ভাতা ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য হবেন।

নির্বাচিত হওয়ার পর সরকার এ মেয়রদের কোনো মর্যাদা নির্ধারণ করেনি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মেয়রদের পদমর্যাদা ঠিক না হওয়ায় রাষ্ট্রীয় কোনো অনুষ্ঠানে মেয়রদের প্রটোকল নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। তারা কোথায় বসবেন তা নির্ধারণ করা যাচ্ছে না।

সিটি কর্পোরেশন আইনে মেয়রদের পদমর্যাদা নির্ধারণ বিষয়ে কিছু বলা নেই। তাই সরকারগুলো নিজেদের মতো করে পদমর্যাদা নির্ধারণ করে নেয়। বিএনপি আমলেও ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের (অভিভক্ত) মেয়রকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা দেয়া হয়েছিল। এর আগে, রাজশাহীবাসীর প্রাণের দাবি তুলেছিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে পূর্নমন্ত্রীর মর্যাদা দেয়া।

এদিকে, আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে জয়ী ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামকে মন্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছে সরকার। অন্যদিকে রাজশাহীর সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেককে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা দেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য ও নগরের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামন লিটন প্রথম রাসিকের মেয়র নির্বাচিত হন ২০০৮ সালে। সে সময় তিনি প্রতিমন্ত্রীর পদ মর্যাদা পান। সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয় বারেরমত মেয়র নির্বাচিত হন খায়রুজ্জামান লিটন। এর আগে ২০১৩ সালে মেয়র হন নগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।

বিএ-১১/২৭-০৫ (নিজস্ব প্রতিবেদক)