রাজশাহী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে সর্বহারা পরিচয়ে হুমকি

এবার সর্বহারা পরিচয়ে রাজশাহী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকারকে হুমকি দেয়া হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে একটি বাংলালিংক নম্বর থেকে তাকে এ হুমকি দেয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিজেই।

এদিকে একই দিন রাজশাহীর এক ব্যবসায়ীকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেয় নিষিদ্ধ ঘোষিত সর্বহারা (এলএমএল লাল পতাকা) দলের নেতা পরিচয়ে একজন। এসময় তাঁর পরিবারকেও দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। গত তিন-চার দিন ধরে অব্যাহতভাবে এ হুমকি দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে।

রাজশাহী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার জানান, বুধবার দুপুরে বাংলালিংক নম্বর থেকে সর্বহারা পরিচয়ে তাকে একজন ফোন দেয়। ফোন দেওয়ার পর তিনি চাঁদা দাবি করেন। একপর্যায়ে তিনি চেয়ারম্যানকে গালাগালি শুরু করেন। নানারকম হুমকিও দেয়।

এদিকে একই দিন রাজশাহীর এক ব্যবসায়ীকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেয় নিষিদ্ধ ঘোষিত সর্বহারা (এলএমএল লাল পতাকা) দলের নেতা পরিচয়ে একজন। এসময় তাঁর পরিবারকেও দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। গত তিন-চার দিন ধরে অব্যাহতভাবে এ হুমকি দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে। দুপুর পৌনে দুইটার দিকে ০১৯৯৭৪১৬০৪৭ নম্বর থেকে ওই ব্যবসায়ীকে এ হুমকি দেওয়া হয়। পরে বিষয়টি ওই ঠিকাদার গণমাধ্যমকর্মীদের এবং নগরীর বোয়ালিয়া থানার ওসিকে জানান।

হুমকি পাওয়া ওই ঠিকাদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘একটি অপরিচিত নম্বর থেকে আমাকে ফোন করে নিজেকে সর্বহারা দলের নেতা পরিচয় দিয়ে কথা বলতে শুরু করে। এসময় আমি লাউড স্পীকার দেওয়ার কারণে ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে সে বিষয়টি টের পায়। এতে সে উত্তেজিত হয়ে আমাকে নানাভাবে হুমকি দিতে থাকে। একপর্যায়ে আমার পরিবারের সদস্যদেরকেও দেখে নেওয়া হবে বলে হুমকি দেয়। বিষয়টি পরে আমি থানার ওসিকে জানিয়েছি।’

বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিবারণ চন্দ্র বর্মন বলেন, একজনকে ব্যবসায়ীকে মোবাইলে সর্বহারা পরিচয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে মৌখিকভাবে। তবে সর্বহারাদের তেমন কোনো কার্যক্রম নেই রাজশাহীতে। কাজেই কিছু টাকা হাতিয়ে নিতে ওই ব্যবসায়ীকে এই ধরনের হুমকি দিয়েছে।
এদিকে নগরীর আরেক ব্যবসায়ী জানান, তার নিকট থেকেও মোবাইলে গত কয়েকদিন আগে সর্বহারা পরিচয় দিয়ে চাাঁদা দাবি করা হয়। তবে বিষয়টি তিনি কাউকে জানানি।

এভাবে সম্প্রতি নগরীর অন্তত ৫-৭ জন ব্যবসায়ীকে মোবাইলে সর্বহারা পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবি করা হয় বলেও নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র। এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষককে ফোন করে সর্বহারা পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবি করা হয়।

বিএ-২০/২৮-০৮ (নিজস্ব প্রতিবেদক)