আরডিএ কর্মচারীর দুই বছরের কারাদণ্ড

অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) সাবেক কর্মচারী মোস্তাক আহমেদের দুই বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বুধবার দুপুরে রাজশাহীর বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মোসা. ইসমত আরা এ দণ্ডাদেশ দেন। একইসঙ্গে অভিযুক্ত ওই কর্মচারীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।

দণ্ডিত মোস্তাক আহমেদ আরডিএ’র উচ্চমান সহকারী ছিলেন। তিনি জেলার পবা উপজেলার ভাঙ্গা সড়কপাড়া গ্রামের মোস্তাকের বাবার নাম হাবিবুর রহমান।

দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ায় আগেই তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে আরডিএ।

দুদকের সমন্বিত রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের আদালত পরিদর্শক আমির হোসাইন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আরডিএ’তে চাকরিতে থাকা অবস্থায় ২০১৬ সালের শুরুর দিকে মোস্তাক আহমেদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পায় দুদক।

পরে তার স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পদের বিবরণ দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে জমা দেয়ার জন্য চিঠি দেয়া হয়। কিন্তু তিনি চিঠি অগ্রাহ্য করে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি।

দুদক আইন-২০০৪ এর ২৬ (২) ধারা অনুযায়ী আদেশ দেয়ার পর সম্পদ বিবরণী দাখিল না করাটা অপরাধ।

এ অপরাধে ২০১৬ সালের ২৮ এপ্রিল দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের তৎকালীন সহকারী পরিচালক রিজিয়া খাতুন মোস্তাক আহমেদের বিরুদ্ধে রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় আদালত তাকে দোষী সব্যস্ত করে রায় দিলেন।

আমির হোসাইন আরও জানান, চেক জালিয়াতির একটি মামলায় গ্রেফতার মোস্তাক আহমেদ রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারেই আছেন। তাই রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে হাজির ছিলেন না।

তার পক্ষে ছিলেন না কোনো আইনজীবীও। তবে দুদকের পক্ষে আইনজীবী শহিদুল হক খোকন মামলাটি পরিচালনা করেন।

বিএ-১২/৩০-১০ (নিজস্ব প্রতিবেদক)