রাজশাহীতে অধ্যক্ষকে পুকুরে নিক্ষেপ : গ্রেফতার আরও তিনজন

রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদকে পুকুরে ফেলে দেয়ার ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার দিবাগত রাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আসাম কলোনি এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান আশিক (২২), একই এলাকার শাহ আলমের ছেলে মেহেদী হাসান হিরা (২৩) ও সাধুরমোড় এলাকার নোমানের ছেলে নাবিউল উৎস (২০)।

নগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের দেয়া তথ্য ও সিসিটিভির ফুটেজ দেখে অপরাধীদের শনাক্ত করা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে নগর গোয়েন্দা পুলিশ ও চন্দ্রিমা থানা পুলিশ রোববার দিবাগত রাতে তাদের গ্রেফতার করে। আজ (সোমবার) দুপুরের দিকে তাদের আদালতে তোলা হয়।

এর আগে এই মামলায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার রাতে পলিটেকনিক ছাত্রাবাস থেকে আটক ২৫ জনের মধ্যে থেকে তাদের শনাক্ত করে পুলিশ। এরা হলেন- পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী শাফি শাহরিয়ার (২৩), সোহেল রানা (২২), বাঁধন রায় (২০), আরিফুল ইসলাম (২৩) ও মেহদী হাসান রাব্বি (২১)।

অধ্যক্ষের দায়ের করা মামলায় রোববার দুপুরের পর তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলায় এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন- কম্পিউটার বিভাগের অষ্টম পর্বের ছাত্র কামাল হোসেন সৌরভ, ইলেকট্রনিক্সের পঞ্চম পর্বের মুরাদ, পাওয়ারের সাবেক ছাত্র শান্ত, ইলেকট্রিক্যালের সাবেক ছাত্র বনি, মেকাট্রনিক্সের সাবেক ছাত্র হাসিবুল ইসলাম শান্ত, ইলেকট্র মেডিকেলের সাবেক ছাত্র সালমান টনি, একই বিভাগের সপ্তম পর্বের ছাত্র হাসিবুল এবং কম্পিউটারের সাবেক ছাত্র মারুফ। মামলায় ৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।

শনিবার রাতে মামলা দায়েরের পর আসামি ধরতে অভিযানে নামে নগরীর চন্দ্রিমা থানা পুলিশ। এর আগে অন্যায় আবদার না রাখায় দুপুরে অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদকে লাঞ্ছিত করে পলিটেকনিকের ভেতরেই পুকুরে ফেলে দেয় সৌরভের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। ওই সময় জোহর নামাজ শেষে মসজিদ থেকে নিজ দফতরে ফিরছিলেন তিনি। পরে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গিয়ে তাকে পুকুর থেকে টেনে তোলেন। তবে পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে তার মোবাইল ফোন।

বিএ-০৮/০৪-১১ (নিজস্ব প্রতিবেদক)