প্রতিবস্তায় চালের দাম ৩০০ টাকা বেশি, চাতাল মালিকের জরিমানা

পঞ্চাশ কেজির প্রতিবস্তা মোটা চাল রাজশাহীর পাইকারী বাজারে বিক্রি হবার কথা দেড় হাজার টাকায়। কিন্তু কর্তমান করোনা পরিস্থিতির সুযোগে ৩০০ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার ৮০০ টাকা নিচ্ছিলেন রাজশাহীর এক চাতাল মালিক।

সোমবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে আবুল হোসেন নামের ওই চাতাল মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।

অভিযুক্ত আবুল হোসেন নগরীর কোর্টে মোল্লাপাড়া এলাকায় আবদুস সালামের চাতাল ভাড়া নিয়ে চাল ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন।

ওই ব্যবসীর অপরাধ প্রশ্রয় দেয়ায় চাতালের মুল মালিক আবদুস সালামকেও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত।

ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম জানান, নগরীর হড়গ্রাম বাজারে চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাড়তি দাম নেয়ার অভিযোগ পেয়ে তিনি অভিযানে নামেন।

ওই সময় হড়গ্রাম বাজারের এক খুচরা বিক্রেতার কাছে চাতাল মালিক আবুল হোসেন প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) স্বর্ণা চাল এক হাজার ৮০০টাকা বিক্রি করেন। কিন্তু চলতি বাজার মূল্য অনুযায়ী প্রতি বস্তা এই চালের দাম দেড় হাজার টাকা।

পরে আবুল হোসেনের খোঁজে মোল্লাপাড়ায় মেসার্স আবদুস সালাম ট্রেডার্স নামে একটি চাতালে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত।

সেখানে মিলের মালিক আবদুস সালাম জানান, চাল ব্যবসায়ী আবু হোসেন তার চাতাল ভাড়া নিয়ে চাল উৎপাদন করে। এই ঘটনায় আবুল হোসেন ও আবদুস সালাম দুজনকেই জরিমানা করা হয়। আগামীতে এই ধরণের কর্মকাণ্ড বিরত থাকারও নির্দেশ নেয়া হয়।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরো বলেন, হড়গ্রাম বাজারে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। তবে কয়েক ব্যবসায়ী আদা, পেঁয়াজ ও আলুর দাম কয়েক টাকা করে বেশি নেয়া কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে। করোনা ইস্যুতে ব্যবসায়ীরা যাতে পণ্যের দাম বাড়াতে না পারে, সে লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বিএ-০৫/২৩-০৩ (নিজস্ব প্রতিবেদক)