রাজশাহীর হাট-বাজারে কমছে না জনসমাগম

সারাদেশে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে জনসাধারণ ঘরে অবস্থান করছেন। কিন্তু এর ব্যতিক্রম চলছে রাজশাহীর বিভিন্ন হাট-বাজারগুলো। ভোর থেকে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ঢল নামছে। এতে করে সাধারণ মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষকে ঘরমুখি করতে বিভিন্ন আইনশৃংখলা বাহিনীর পাশাপাশি প্রশাসন চরম বিপাকে পড়েছেন।

জানাগেছে, পুঠিয়া উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে জনবহুল হাট-বাজার রয়েছে ৪টি। এর মধ্যে উত্তরাঞ্চলের বৃহৎ বানেশ্বর হাট। এরপর অবস্থান করছে ঝলমলিয়া ও মোল্লাপাড়া হাট। প্রতিটি হাট বসে সপ্তাহে দু’দিন করে। হাটগুলো কাক ডাকা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কেনা-বেচা চলে। সম্প্রতি দেশে করোনার প্রভাব দেখা দেয়ায় জনসাধারণকে ঘরের মধ্যে অস্থান করতে নির্দেশনা দিয়েছেন পুলিশ-প্রশাসন। কিন্তু তারা হাট-বাজার গুলোতে জনসমাগম বন্ধ করতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন।

অভিযোগ উঠেছে, হাট-বাজার ইজারদারগণ তাদের লোকসান এড়াতে কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। যার কারণে উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই হাট-বাজারে লোকসমাগমের ঢল বন্ধ হচ্ছে না। এ ঘটনায় পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন গত ৫ এপ্রিল সকালে হাট-বাজার ইজারদারদের সাথে জরুরী বৈঠক করেছেন। কিন্তু সোমবার ঝলমলিয়া হাটে লোকসমাগমের নিষেধাজ্ঞার এর কোনো প্রভাব দেখা যায়নি।

অভিজ্ঞমহল মনে করছেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অনেকেই বিনা প্রয়োজনে হাট-বাজার ও বাহিরে ঘুরাফেরা করছে। তাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিও প্রচারণা চালাচ্ছেন। কিন্তু কিছু মানুষদের অবহেলা ও গাফিলতির কারণে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকির আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওলিউজ্জামান বলেন, হাট-বাজারগুলোতে লোকসমাগম নিয়ন্ত্রণ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষনিক তদারকি চলছে। তবে হাটগুলোতে এক থেকে দু’ঘন্টার জন্য স্বল্প পরিসরে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাঁচা শাক-সবজি বিক্রি করতে ইজারাদারদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

বিএ-০৬/০৬-০৪ (নিজস্ব প্রতিবেদক)