রাজশাহীতে কোয়ারেন্টাইনে ১৭১জন

কোয়ারেন্টিনে

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে রাজশাহী জেলায় এখন ১৭১ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তবে বিদেশ ফেরত কেউ এই তালিকায় নেই। তারা ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। এদিকে করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১৩ জন।

জেলার সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক জানান, জেলায় এ পর্যন্ত ১৩ জন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে একজন মারা গেছে। অবশিষ্ট ১২ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি জানান, জেলায় এ পর্যন্ত মোট এক হাজার ৬৯৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে আনা হয়। এর মধ্যে ১৪ দিন পূর্ণ হওয়ায় এক হাজার ৫১৭ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। বাকিরা কোয়ারেন্টাইনে আছেন।

তিনি জানান, বুধবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় রাজশাহীতে নতুন করে ৫ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। রাজশাহীতে এখন যে ১৭১ জন কোয়ারেন্টাইনে আছেন তাদের সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪০ জন, বাঘায় ৩২ জন, দুর্গাপুরে ১৬ জন, বাগমারায় ১৪ জন ও তানোরে ৬৯ জন।

এদিকে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে রাজশাহীতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৬ জন। বুধবার দুপুর পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় রামেক হাসপাতালে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এই রোগিদের মধ্যে ১২ জনকে মিশন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি চারজনকে রামেক হাসপাতালের করোনাভাইরাস পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।

হাসপাতালের উপ-পরিচালক সাইফুল ফেরদৌস জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন ১৬ জন। এদের মধ্যে ১২ জনকে মিশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যাদের মধ্যে চারজন মঙ্গলবার ও আটজন বুধবার ভর্তি হয়েছেন। সবার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে। এছাড়াও গত ২৪ ঘন্টায় মিশন হাসপতালে ভর্তি ৯ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, রামেক ভর্তি হওয়ার পর এ পর্যন্ত ১৪০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে। এদের মধ্যে শুধু একজনের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। তিনি সংক্রমক ব্যাধি (আইডি) হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

বিএ-১৫/২৯-০৪ (নিজস্ব প্রতবেদক)