রাজশাহী বিভাগে করোনা রোগি বেড়ে ২৪৯ জন

রাজশাহী বিভাগে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। এ পর্যন্ত বিভাগের আট জেলায় করোনা ধরা পড়েছে ২৪৯ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৬ জনের।

নতুন ১৪ জনসহ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৭০ করোনা রোগি। তবে নতুন ১১ জনসহ সুস্থ্য হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২৭ করোনা রোগি। । করোনায় মৃতের সংখ্যা এখনো আটকে রয়েছে দুই এ।

মঙ্গলবার দুপুরে দিকে স্বাস্থ্য দপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, দিনে দিনে রাজশাহী বিভাগে করোনা পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে। এখন করোনাভাইরাসের কমিউনিটি সংক্রমণ পর্যায় চলছে। এই অবস্থায় প্রত্যেককে সর্বোচ্চ সর্তক হয়ে হতে হবে। বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হওয়া যাবেনা। সবসময় জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। প্রয়োজনে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পড়তে হবে।

এদিকে, বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের হিসেবে, নওগাঁ জেলাকে পেছনে ফেলে বিভাগে আবারো করোনার হটস্পট হয়ে উঠেছে জয়পুরহাট জেলা। এই জেলায় এখন করোনা রোগির সংখ্যা ৭১ জন। গত ২৮ ঘন্টায় নতুন ২৩ জনের করোনা ধরা পড়েছে। নতুন ১১ জনসহ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এই জেলার ৫১ রোগি। এ পর্যন্ত সুস্থ্য হয়ে রোগি হাসপাতাল ছেড়েছে জয়পুরহাটের ৫ জন।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭০ জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে নওগাঁয়। গত ২৪ ঘন্টায় বিভাগে করোনার হটস্পট এই জেলায় ধরা পড়েনি করোনা। এর আগে প্রায় প্রতিদিনই এই জেলায় লাফিয়ে বাড়েছে করোনা রোগি। আক্রান্তদের ৩ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই জেলার ১০ রোগি সুস্থ্য হয়ে ঘরে ফিরেছেন।

গত ২৪ ঘন্টায় বগুড়ায় দুজন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সবমিলিয়ে বগুড়ায় ৪১ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৬ জনের করোনা ধরা পড়েছে। বগুড়ায় ১৫ রোগি হাসপাতাল ভর্তি থাকলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জে কেরোনা রোগিদের কেউ হাসপাতালে আসেনি। বগুড়ার ৮ বরোনা রোগি সুস্থ্য হলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জে এখনো কোন রোগি সুস্থ্য হবার খবর নেই।

গত ২৪ ঘন্টায় করোনা শনাক্ত হয়নি রাজশাহী, নাটোর, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলায়। এপর্যন্ত রাজশাহী ১৭ জন, নাটোরে ১২ জন, পাবনায় ১৬ জন এবং সিরাজগঞ্জে ৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত রাজশাহী ও নাটোরে একজন করে মারা গেছেন প্রাণঘাতি করোনায়।

স্বাস্থ্য দপ্তরের হিসেবে, গত ২৪ ঘন্টায় হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে ৫৭৯ জনকে। এই সময়ে হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে বেরিয়েছেন ৬৫৩ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে গেছেন ১৬ জন। আর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন শেষ হয়েছে ৪ জনের। নতুন করে ১৩ জনকে আইসোলেশনে নেয়া হলেও ছাড়পত্র পেয়েছেন ২ জন।

গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বিভাগে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে ২৮ হাজার ৭৫৫ জনকে। এদের মধ্যে ২১ হাজার ২৪২ জন হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছেন। প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে ৪৩৭ জনকে। এদের ২৭৮ জনপ্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়া পেয়েছেন। এ পর্যন্ত ২৪৬ জনকে আইসোলেশনে নেয়া হলেও ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৮০ জন।

বিএ-১৬/১২-০৫ (নিজস্ব প্রতবেদক)