রাজশাহী বিভাগেজুড়ে করোনায় আক্রান্ত ৩৫৮ জন

রাজশাহী বিভাগজুড়ে এখন পর্যন্ত প্রাণঘাতি করোনা শনাক্ত ৩৫৮ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় বিভাগের আট জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩৩জন। সোমবার দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, বিভাগের আট জেলায় এ পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১১১ করোনা রোগি। করোনায় প্রাণ গেছে বিভাগে তিন জনের। করোনা জয় করে ঘরে ফিরেছেন ৬৭ জন।

স্বাস্থ্য পরিচালক জানান, বিভাগে করোনার হটস্পট জয়পুরহাট জেলায় সবমিলিয়ে করোনা ধরা পড়েছে ১১৫ জনের। এর মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৮ জনের। জেলার ৮২ করোনা রোগি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। করোনা জয় করে ঘরে ফিরেছেন এখানকার ২৯ জন।

বিভাগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করোনা ধরা পড়েছে নওগাঁয় ৮৩ জন। গত ২৪ ঘন্টায় এই জেলায় কোন করোনা রোগি শনাক্ত হয়নি। করোনা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এখানকার ৪ রোগি। এরই মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ১৬ করোনা আক্রান্ত।

এছাড়া বগুড়ায় করোনা শনাক্ত হয়েছে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৭৮ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ধরা পড়েছে ৩ জনের। এখানকার ২০ করোনা রোগি ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। চিকিৎসায় স্স্থ্যু হয়েছেন বগুড়ার ১১ করোনা আক্রান্ত। এছাড়া একজন করে করোনা ধরা পড়েছে পাবনা ও সিরাজগঞ্জে। এর মধ্যে পাবনায় ১৭ এবং সিরাজগঞ্জে ১৬ জনের করোনা ধরা পড়েছে।

নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়নি রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোর। এরমধ্যে রাজশাহীতে ২০ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৬ জন এবং নাটোরে ১৩ জনের করোনা ধরা পড়েছে। রাজশাহী, নাটোর ও সিরাজগঞ্জে এক জন করে প্রাণ হারিয়েছেন করোনায়।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের হিসেবে, বিভাগে এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয় ৩২ হাজার ২৮৫ জনকে। এরমধ্যে কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছেন ২৪ হাজার ৫৩৩ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে ৫১০ জনকে। এদের ৩০৮ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছেন। চিকিৎসার জন্য ৩৫৮ জনকে আইসোলেশনে নেয়া হলেও ছাড়পত্র পেয়েছেন ২২৬ জন।

রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য জানান, বিভাগের অধিকাংশ করোনা আক্রান্তের উপসর্গ প্রকাশ হয়নি। এদের নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা চলছে। তারা ভালো আছেন।

আর যারা কিছুটা অসুস্থ তাদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। সার্বক্ষণিক তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। সংক্রমণ ঠেকাতে সবাইকে জনসমাবেশ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।

বিএ-২০/১৮-০৫ (নিজস্ব প্রতবেদক)