রাবির ‘গোপন নথি’ চুরি করেছেন উপাচার্যের জামাতা!

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সিনেট ভবনের তালা ভেঙে সিন্ডিকেটের ‘গোপন নথিপত্র’ চুরির অভিযোগ উঠেছে উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহানের জামাতার বিরুদ্ধে। তার নাম এ টি এম শাহেদ পারভেজ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) প্রভাষক।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ কলা ভবনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ তোলেন বিশ্বিবদ্যালয়ের দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষক সমাজ। তারা অভিযোগ করেন, সোমবার রাত ১০টার দিকে সিনেট ভবনের পেছনের গেটের তালা ভেঙে ওই নথিপত্র চুরি করা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সফিকুন্নবী সামাদী, প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক আলী রেজা অপু, জাহাঙ্গীর আলম সাঈদ, তরিকুল হাসান মিলন, সদস্য সচিব অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পান্ডে, সদস্য অধ্যাপক এসএম একরাম উল্লাহ, আবদুল্লাহ আল মামুন ও আসাদুল হকসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গতকাল সোমবার রাতে উপাচার্যের জামাতা এ টি এম শাহেদ পারভেজের নেতৃত্বে বহিরগতরা সিনেট ভবনের তালা ভেঙে সিন্ডিকেটের কাগজপত্র বের করে নিয়ে আসে। গতকাল দিনভর ১৫০ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দানের উদ্দেশ্যে কাগজপত্র প্রস্তুর করা হয় এবং রেজিস্ট্রারকে তাতে স্বাক্ষর করার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে তিনি অস্বীকৃতি জানান।

তবে আমরা জানতে পেরেছি, রেজিস্ট্রার দপ্তরের নিম্নতম একজন কর্মকর্তা দিয়ে এটি স্বাক্ষরের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে একটি বিষয় উল্লেখ করা জরুরি যে, আমরা কারও নিয়োগের বিরোধী নই, কিন্তু প্রচলিত বিধি মোতাবেক স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা বলেন, সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উপাচার্যের জামাতার নেতৃত্বে আজ সকাল থেকে বহিরাগত ক্যাডাররা উপাচার্যের বাড়ির সামনে অবস্থান নেয়। দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষকরা উপাচার্যের শেষ সময়ে সিন্ডিকেট শান্তিপূর্ণভাবে বন্ধ করার চেষ্টা করলে উপাচার্যের জামাতা এ টি এম শাহেদ পারভেজ ও প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান নেতৃত্বে তা প্রতিহত করার চেষ্টা চলে। এ সময় উপাচার্যের জামাইয়ের নেতৃত্বে বহিরাগত ক্যাডার বাহিনী শিক্ষকদের গুলি করার হুমকি দেয়।

প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করে দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষকরা জানান, এ ক্ষেত্রে প্রক্টরের ভূমিকা ন্যাক্কারজন, আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি। একই সঙ্গে মাস্টারররোলের কর্মচারীদের ঈদ বোনাসের ব্যবস্থা করা হোক। আগামী ৬ মে’র পরে উপাচার্যের বিচার প্রক্রিয়ার শুরু করার দাবিও জানান শিক্ষকরা।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপাচার্যের জামাতা এ টি এম শাহেদ পারভেজ মুঠোফোন রিসিভ করেননি।

এসএইচ-৪০/০৪/২১ (নিজস্ব প্রতিবেদক)