রাতে ‘প্রেমিকার’ সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে আ’লীগ নেতা ধরা

আজম আলী, রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বয়স গড়িয়েছে ৫৮ বছরে। তবুও করেননি বিয়ে।

তবে মঙ্গলবার রাতে মধ্যবয়সী এক নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েন তিনি। পরে গ্রামবাসীর চাপে বাধ্য হন বিয়ের পিঁড়িতে বসতে।

বুধবার বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউসুফপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল আলম রতন।

তবে ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, আজম আলী অনেক বয়স হওয়ার পরও বিয়ে করছিলো না। এদিকে ওই নারীর সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক ছিলো। তিনিও বিধবা ছিলেন। আর তাই দুই পরিবারের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করেই মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাদের বিয়ে হয়। এখানে কোনো প্রকার আপত্তিকর কিছুই ঘটেনি বা কাউকে চাপ প্রয়োগ করা হয়নি।

তবে স্থানীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুবছর আগে ওই নারী একটি জমি বিক্রয় করেন আজম আলীর কাছে। এ থেকেই তাদের মধ্যে পরিচয় ও সম্পর্কের সূত্রপাত। এ সম্পর্কের টানে মঙ্গলবার রাতে মধ্যবয়সী নারীর বাড়িতে যান আওয়ামী লীগ নেতা আজম।

বিষয়টি গ্রামবাসী জানতে পারলে তাকে হাতে-নাতে ধরেন। পরবর্তীতে উভয়ের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা সাপেক্ষে কাজি ডেকে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে কাজী আবুল বাশার বলেন, ঘটনাটি আমার বাড়ির পাশেই ঘটেছে। লোকজন জানাজানি হলে আমাকে খবর দেয়। সাড়ের ১০টার দিকে সাড়ে ৬ লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ের রেজিস্ট্রি করা হয়। তবে শুনেছি তাদের মধ্যে অনেক আগে থেকেই একটি সম্পর্ক ছিল।

এসএইচ-০৭/২৯/২১ (নিজস্ব প্রতিবেদক)