এক কলেজের তিন শিক্ষক চেয়ারম্যান নির্বাচিত

রাজশাহীর বাঘায় একই কলেজের তিন শিক্ষক চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। চলতি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নিজ নিজ এলাকায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে তারা বিজয়ী হন। এতে নির্বাচিত তিনজনই বাঘা উপজেলার বাউসা মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে বাউসা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ নুর মোহাম্মদ তুফান আ.লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ৮ হাজার ১৬৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি উপজেলা আ.লীগের বহিষ্কৃত আইনবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন।

বাউসা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকালীন আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থীর ওপর হামলা মামলায় বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন। তিনি জেল থেকে নির্বাচন করে চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগের প্রার্থী উপজেলা আ.লীগের দপ্তর সম্পাদক শফিকুর রহমান শফিক নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৪২৮ ভোট। এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২৪ হাজার ৫৬৫ জন। নুর মোহাম্মদ তুফান রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক ও অধ্যক্ষ।

অপরদিকে একই কলেজের শিক্ষক রফিকুল ইসলাম রফিক আড়ানী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় নৌকা প্রতীক নিয়ে ৪ হাজার ৪২২ ভোট পেয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বাউসা মহাবিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসির উদ্দিন আনারস প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২ হাজার ৯২৪। এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৯ হাজার ১৩০ জন। রফিকুল ইসলাম রফিক আড়ানী ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান।

এদিকে একই কলেজের বাংলা বিষয়ের শিক্ষক মোখলেসুর রহমান লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় নৌকা প্রতীক না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। তিনি আওয়ামীলীগের দলীয় নৌকার প্রার্থী ইমদাদুল হক মিলনকে পরাজিত করেন।

মোখলেসুর রহমান ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৬ হাজার ৮৩টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে ভোট পেয়েছেন ৩ হাজার ৯১৪টি। মোখলেসুর রহমান আড়বাব ইউনিয়ন আ.লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ও লালপুর উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক ছিলেন।

এ বিষয়ে আড়ানী ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও বাউসা মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, আমরা একই কলেজে আলাদা বিষয়ে শিক্ষকতা এবং আ.লীগের রাজনীতি করি। আমরা আলাদা ইউনিয়ন থেকে আ.লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়ে আমি নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হলেও অন্য দুজন মনোনীত না হয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করে তিনজনই চলতি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি।

এসএইচ-১৮/২৯/২১ (নিজস্ব প্রতিবেদক)