বোরো আবাদে ব্যয় বৃদ্ধির শঙ্কায় কৃষকরা

সেচের অনিশ্চয়তা নিয়েই রংপুর কৃষি অঞ্চলের ৫টি জেলায় এবার বোরো আবাদ হচ্ছে ৫ লাখ হেক্টরের বেশি জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে ২১ লাখ টন। সেচনির্ভর এই আবাদে দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ থেকে পানি সরবরাহ করা হবে ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে।

গত আমনের ক্ষতি পোষাতে এবার বোরো আবাদে জোর দেয়া হয়েছে। চলতি বছর রংপুর কৃষি অঞ্চলের ৮টি জেলায় ২১ লাখ ৫৬ হাজার ৭৭০ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষে ৫ লাখ ৩৭০ হেক্টর জমিতে বোরো চারা রোপণের কাজ প্রায় শেষ।

এর মধ্যে তিস্তা সেচ প্রকল্প থেকে এবার ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে পানি দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

অবশিষ্ট সেচের জন্য ভূগর্ভের পানির ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে কৃষকদের। আর এ কারণে উৎপাদন ব্যয়-বৃদ্ধির শঙ্কা করছেন কৃষকরা।

তিস্তা ব্যারেজের সেচের অনিশ্চয়তার কারণে এবারও ভূগর্ভের পানির ওপরই নির্ভর করার কথা জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন।

তিস্তা প্রকল্প এলাকাসহ প্রকল্পবহির্ভূত এলাকায় সেচের জন্য ২ হাজার ৭৬৭টি গভীর নলকূপ, ২ লাখ ১১ হাজার ৭৮৩টি অগভীর নলকূপ, ৫৪৬টি লোলিফ্ট পাম্প ব্যবহার হবে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

এসএইচ-০৬/২৯/২১ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)