একসঙ্গে ৩ সন্তানের জন্ম

গৃহবধূর যমজ সন্তান হবে, কয়েকবার চেকআপ করে এমনকি আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট দেখে আগেই জানিয়েছিলেন চিকিৎসক। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের দেড় মাস আগে সিজারিয়ান অপারেশনের পর প্রসূতির পেট থেকে একে একে প্রসব হলো ৩ পুত্রসন্তান।

বুধবার রংপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ওই নবজাতকদের জন্ম দেন ওই গৃহবধূ।

জানা গেছে, লালমনিরহাট জেলার কুলারঘাটের বাসিন্দা ও কুড়িগ্রাম জেলা আনসার ও ভিডিপির হিসাবরক্ষক গোলাম মোস্তফা রাঙার স্ত্রী রোজিনা বেগম দ্বিতীয়বারের মতো অন্তঃসত্ত্বা হলে গাইনি চিকিৎসক সোনালী রানী মুস্তফির শরণাপন্ন হন। প্রথমবার সন্তান প্রসবের আগেই এই চিকিৎসকের কাছে হরমনজনিত চিকিৎসা নিয়ে আসছিলেন ওই গৃহবধূ।

প্রসূতি জানান, এবারও শুরু থেকেই নিয়মিত ডা. সোনালীর কাছেই পরামর্শ নিয়ে আসছিলেন তিনি। কয়েকবার চেকআপ ও সর্বশেষ আলট্রাসনোগ্রামের রিপোর্ট দেখে যমজ সন্তানের কথা জানান এই চিকিৎসক। সেভাবেই মানসিক ও অন্যান্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন এই দম্পতি। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের দেড় মাস আগেই প্রসবব্যথা শুরু হলে গতকাল রংপুরের প্রাইম মেডিকেলে তার অস্ত্রোপচার হয়।

আলট্রাসনোগ্রামের ভুল রিপোর্টের কারণে নবজাতকের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি হয়ে থাকতে পারে দাবি করে ডা. সোনালী জানান, নির্ধারিত সময়ের কিছুটা আগেই প্রসব করানোর ফলে নবজাতকদের ওজন কিছুটা কম। এ কারণে তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তবে প্রসূতি ভালো আছেন বলে জানান চিকিৎসক।

২০১৩ সালে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাটের মীরের বাড়ির ইয়াকুব আলীর মেয়ে রোজিনাকে বিয়ে করেন গোলাম মোস্তফা রাঙা। রোজিনাও একজন আনসার ভিডিপি সদস্য।

এসএইচ-১১/০৭/২২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)