বিচারক স্বামীর বিরুদ্ধে চিকিৎসক স্ত্রীর মামলা

রংপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেবাংসু কুমার সরকারের বিরুদ্ধে যৌতুক না পেয়ে হত্যাচেষ্টা ও গুরুত্বর জখমের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন তার স্ত্রী ডা. হৃদিতা সরকার।

মঙ্গলবার বিকেলে রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলাটি দায়েরের পর আদালত শুনানির জন্য আগামী বৃহষ্পতিবার দিন ধার্য করেছেন।

রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-৩ এর বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার রফিক হাসনাইন জানান, হত্যাচেষ্টা ও গুরুতর জখমের অভিযোগে বিকেলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ এর ক ও খ ধারায় হৃদিতা সরকার মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় দেবাংসু কুমার সরকারের বাবা, চাচা ও ফুফাতো ভাইকেও আসামি করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ৩০ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য ২০২১ সালের ২৫ আগস্ট রংপুর জজেস কোয়ার্টারে স্ত্রী ডা. হৃদিতা সরকারকে মারপিট করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেবাংসু কুমার সরকার। বিষয়টি জেলা জজের কানে গেলে কোয়ার্টার থেকে তাদের বের করে দেওয়া হয়। পরে হৃদিতা তার বাপের বাড়ি চলে গেলেও দেবাংসু দ্বিতীয় বিয়ে করে রংপুরেই বসবাস শুরু করেন। এই খবর পেয়ে হৃদিতা গত ২৮ মার্চ রংপুরে এসে আদালত প্রাঙ্গণে স্বামীর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত আদালতের গেটে অপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত স্বামীর দেখা পান তিনি। কিন্তু সেখানেই দেবাংসু প্রকাশ্যে হৃদিতাকে মারপিট করেন। রক্তাক্ত জখম হয়ে রংপুর মেডিকেলে ২১ দিন চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার মামলা করেন তিনি।

দেবাংসুর বাড়ি ময়মনসিংহ জেলা শহরে। হৃদিতার বাড়ি একই জেলার হালুয়াঘাট উপজেলায়। তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

যৌতুকের বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে প্রতিবাদ করায় তাকে এই পরিণতি বরণ করতে হয়েছে বলে দাবি করেন আইনজীবী।

এসএইচ-৩১/১৯/২২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)