দুম্বা দেখতে নাজমুল-লাবনীর বাড়িতে ভিড়

রংপুরের পীরগাছার নাজমুল-লাবনী দম্পতির খামারের দুম্বা কিনতে প্রতিদিন ভিড় করছেন অসংখ্য ক্রেতা। তাদের খামারে ১৪টি দুম্বা থাকলেও ৩টি দুম্বা কোরবানির উপযোগী। একেকটির দাম সোয়া ২ লাখ টাকা উঠলেও আড়াই লাখে বেচতে চান তারা।

তোতাপুরি জাতের ছাগলের সঙ্গে একই খামারে বেড়ে উঠছে ১৪টি দুম্বা। ছাগলের মতো ঘাঁস, পাতা, ভুসি খেয়ে বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বেড়ে উঠছে তপ্ত মরুভূমির এই প্রাণী। আগে থেকেই অনেক মানুষ দুম্বার খামার দেখতে আসলেও ঈদকে সামনে রেখে কোরবানির জন্য দুম্বা কিনতে অনেকেই আসছেন তাদের পীরগাছা উপজেলার খোকারবাজার গ্রামের বাড়িতে।

এতোদিন টেলিভিশন-ইউটিউবে দুম্বা দেখে আসলেও নিজের এলাকায় দেখে অভিভূত মানুষ। রবিউল ইসলাম নামে এক জন বললেন, ছাগলের সঙ্গে দুম্বাগুলো কেমন মানিয়ে নিয়েছে। ভাবছি, আমার বাড়িতেও যদি দুম্বার খামার থাকতো, তাহলে আমার বাড়িতেও মানুষ ভিড় করতো।

এনজিও কর্মী স্বামী নাজমুল ইসলাম বাইরের কাজে বেশি ব্যস্ত থাকেন। একাই খামার সামলে খুশি লাবনী জানালেন, ১৪টি দুম্বা রয়েছে তাদের খামারে। কিন্তু ৩টি দুম্বা বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন।

এরই মধ্যে একেকটি দুম্বার দাম সোয়া দুই লাখ টাকা উঠলেও আড়াই লাখ হলে বেচতে চান তারা।এর আগে একই উপজেলায় রেজাউল ইসলাম নামে এক যুবক ছাগলের সঙ্গে দুম্বা পালন করে সফল হন। এবার নাজমুল-লাবনী দম্পতির আরও একটি খামার গড়ে ওঠায় আশাবাদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরও।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. সামসুজ্জোহা বলেন, এখন মনে হচ্ছে বাংলাদেশের আবহাওয়ায় মরু অঞ্চলের প্রাণী দুম্বা খাপ খাইয়ে নিতে পেরেছে। আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর খামারিদের দুম্বা পালনে উৎসাহিত করা যায় কি-না তা ভাবার সময় এসেছে।

ছাগলেরও নানা অসুখ-বিসুখ হয়, তবু দুম্বার অসুখ-বিসুখ তেমন একটা হয় না। ছাগলের সঙ্গে একই ঘরে রাখা যায়, একই রকম খাদ্য গ্রহণ করে বলে জানান মো. সামসুজ্জোহা।

এসএইচ-১১/০৮/২২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)