শিশুকে ধর্ষণের পর পুকুরে ফেলে হত্যা!

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে ৮ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর পুকুরে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জয়দেব সরকার নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। রোববার রাতে উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের গাবতলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম সুষ্মিতা দাস। সে গাবতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ও গাবতলা গ্রামের প্রশান্ত দাসের মেয়ে।

আটক জয়দেব একই গ্রামের নির্মল সরকারের ছেলে ও বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েটে স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।

প্রশান্ত দাস জানান, তার মেয়ে একই গ্রামের অম্বিকা রানী সরকারের কাছে প্রতিদিন সন্ধ্যায় প্রাইভেট পড়তো। রোববারও সে তার কাছে পড়তে গিয়ে জানতে পারে অম্বিকা বাড়িতে নেই। এ সময় অম্বিকার ভাই জয়দেব শিশুটিকে ভুলিয়ে ভালিয়ে নিকটস্থ একটি দোকানে নিয়ে যায়।

সেখান থেকে তাকে খাবার খাইয়ে ফের বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়িতে এ সময় অন্য কেউ না থাকায় জয়দেব তাকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে শিশুটি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে মৃত ভেবে তাকে বাড়ির পুকুরে ফেলে দেয় জয়দেব।

তিনি আরও জানান, এক পর্যায়ে সুষ্মিতাকে খোঁজাখুঁজি শুরু হলে জয়দেব পুকুর থেকে তার লাশ তুলে এনে বাড়ির বাথরুমে রেখে দেয়। পরে রাত ১১ টায় গ্রামবাসী লাশটি উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়। এ সময় তারা জয়দেবকে আটকে রাখে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি ) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, শিশুটির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, আটক জয়দেব শিশুটিকে ধর্ষণ, পুকুরে ফেলে হত্যা ও পরে আবার পুকুর থেকে লাশ তুলে এনে বাথরুমে রেখে দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে।

বিএ-০৪/০৭-০১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)