বরগুনায় শিকলে বেঁধে মাদ্রাসা ছাত্রকে নির্যাতন

মাদ্রাসা অধ্যক্ষের নির্যাতনের ভয়ে বারবার পালিয়ে যাওয়া ছাত্রকে ধরে এনে কয়েকদিন শিকলবন্দি করে রাখার অভিযোগে জেলহাজতে যেতে হয়েছে এক শিক্ষককে। বরগুনার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের অংকুজানপাড়ায় কারিমিয়া হাবিবিয়া মাদরাসায় রবিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, তালতলীর অংকুজানপাড়ায় কারিমিয়া হাবিবিয়া মাদরাসায় ছাত্রদের শাসনের নামে নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে। শিক্ষকদের এহেন অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে অধিকাংশ ছাত্রই মাদ্রাসায় না এসে পালিয়ে বেড়ায়।

বার বার মাদ্রাসা পালানো ছাত্র একই গ্রামের আবদুর রহমানের ১২ বছরের ছেলে মো. ইব্রাহিমকে মাদ্রাসা শিক্ষক হাফেজ মো: ফোরকান হাওলাদার ধরে এনে মাদ্রাসার একটি কক্ষে গলা ও পায়ের গোঁড়ালীতে শিকল দিয়ে বেধে রাখে ৩/৪দিন ধরে। এসময় চালায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনও।

গ্রামবাসীর আরেকটি সূত্র জানায় মো. ইব্রাহিমের মা বিদেশে থাকায় বাবা কোন খোঁজ খবর নেয় না। নানা হারুন অর রশিদ বার বার পালিয়ে যাবার কারণে নিজে থেকে এসে নাতিকে বেঁধে রাখার ব্যবস্থা করেন। বিষয়টি পুলিশ প্রশাসন রবিবার রাতে অবহিত হন।

তালতলী থানার পুলিশ রবিবার রাতেই শিকলবন্দি শিশুটি উদ্ধার করে এবং ওই মাদ্রাসার অভিযুক্ত অধ্যক্ষ হাফেজ মো. ফোরকান হাওলাদারকে গ্রেফতার করা হয়।

এব্যাপারে নির্যাতনের শিকার মো. ইব্রাহিমের নানা মো. হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে তালতলী থানায় শিশু নির্যাতনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্ত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাফেজ মো. ফোরকান হাওলাদারকে আদালতে সোপার্দ করলে আদালত জেলে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

বিএ-২১/১১-০৩ (আঞ্চলিক ডেস্ক)