শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদের অফিস কক্ষের ছাদ ধসে পড়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা পরিষদের অফিস কক্ষের ছাদের মূল অংশ ভেঙে পড়ে। রাতে ঘটনাটি ঘটায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ছাদ ভেঙে পড়ায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মো. আবুল খায়ের ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগম বুধবার অফিস সংলগ্ন গাড়ির গ্যারেজে বসে অফিস করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পরিষদের ছাদের মূল অংশ ভেঙে পড়ে আসবাবপত্রের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভবনের বেশ কিছু স্থানে ফাটল ধরেছে। সীমানাঘেঁষে চলছে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের পাইলিংয়ের নির্মাণকাজ। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী একটি ভবনের মেয়াদকাল প্রায় ৯০ বছর। কিন্তু মাত্র ২৮ বছরের মাথায় ভেঙে পড়ল ছাদের মূল অংশ। সেই সঙ্গে প্রায় ১০ ফুট জায়গার রড সম্পূর্ণ বের হয়ে গেছে।
উপজেলা পরিষদ অফিস সূত্র জানায়, ১৯৯০-৯১ অর্থবছরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের জন্য বাসবভবন নির্মাণ করেন ঠিকাদার সরদার মনিরুজ্জামান। ওই সময় সাড়ে সাত লাখ টাকা ব্যয়ে ভবনটি নির্মিত হয়। পরবর্তীতে উপজেলা পরিষদ বিলুপ্ত হলে ভবনটি দীর্ঘদিন জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালী করার লক্ষ্যে উপজেলা পরিষদ চালু করলে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বাসভবন অফিস করা হয়। সেখানে অফিস করেন তৎকালীন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বর্তমান চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান। তখনই তিনি ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানান।
উপজেলা পরিষদের কনফিডেনশিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট সুবল বিশ্বাস বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ ছাদের মূল অংশ ভেঙে পড়ে অফিসের টেবিল-চেয়ার ভেঙে যায়। জীবন বাঁচাতে আমরা আতঙ্কিত হয়ে কক্ষ থেকে বের হয়ে যাই। ওই সময় উপজেলা চেয়ারম্যান অফিসেই ছিলেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান বলেন, ব্যবহার অনুপযোগী একটি ভবনে অফিস করেছিলাম। হঠাৎ ভেঙে পড়ে সেটি। ফলে অফিস করছি গাড়ির গ্যারেজে বসে। আমাদের দাপ্তরিক কাজ সম্পাদনের জন্য কমপক্ষে একটি টয়লেটসহ পাঁচটি কক্ষের প্রয়োজন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. মতিউর রহমান বলেন, বর্তমানে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের কাজ চলছে। চেয়ারম্যানের কক্ষের ছাদের মূল অংশ ভেঙে পড়ার খবর শুনে উপজেলা প্রকৌশলীকে দ্রুত মেরামতের নির্দেশ দিয়েছি।
বিএ-০৮/০৭-০৮ (আঞ্চলিক ডেস্ক)