যৌতুকের টাকা না পেয়ে নববধূকে শ্বাসরোধে হত্যা

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় শ্বশুরবাড়ি থেকে সিমলা খাতুন (১৯) নামে এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার খাসকররা গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত সিমলা খাতুন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তালতলা গ্রামের পশুহাট পাড়ার মৃত আকবর আলীর মেয়ে। নিহতের পরিবারের দাবি, যৌতুকের দাবিতে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে সিমলার শ্বশুরবাড়ির একটি শয়ন কক্ষে তার মরদেহ ঝুলতে দেখা যায়। তবে এ সময় তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন কেউ বাড়িতে ছিলেন না। পরে স্থানীয়রা সিমলার বাবার বাড়িতে খবর দিলে তার পরিবারের লোকজন পুলিশকে জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নিহত সিমলার বড় ভাই লাল্টু মিয়া জানান, তিন মাস আগে আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা গ্রামের নবিছদ্দিন সরদারের ছেলে আকছেদ আলীর সঙ্গে বিয়ে হয় সিমলার। বিয়ের পর থেকেই নানা অজুহাতে যৌতুক দাবি করে আসছিল আকছেদ। তাকে প্রথমে ১ লাখ ও পরে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক হিসেবে দেয়া হয়। এরপরও যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই সিমলাকে নির্যাতন করত আকছেদ। এরই একপর্যায়ে তার মরদেহ উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়।

লাল্টু মিয়ার অভিযোগ, যৌতুকের টাকা না পেয়ে তার সিমলাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তার মরদেহ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুন্সি আসাদুজজামান জানান, খবর পেয়ে মরদহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টের পর আসল রহস্য জানা যাবে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই লাল্টু থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

বিএ-০৩/০৯-০৮ (আঞ্চলিক ডেস্ক)