তিন কুকুরের মুখ থেকে নবজাতককে বাঁচালো পুলিশ সদস্য

তিনটি কুকুরে টানাটানি করছিলো এক নবজাতককে। হতভাগ্য সেই নবজাতককে উদ্ধার করেছেন রাতের ডিউটি শেষে ঘরে ফেরার অপেক্ষায় থাকা এক পুলিশ সদস্য।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড়। এখন হাসপাতালে রয়েছে ওই কন্যা শিশু।

মঙ্গলবার ভোরে ওই নবজাতককে উদ্ধার করেন ডবলমুরিং থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান।

তিনি বলেন, রাতের ডিউটি শেষে আক্তারুজ্জামান সেন্টারের সামনে দাাঁড়িয়েছিলেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে।

ভোর ৫টার দিকে সড়কের বিপরীত দিকে আগ্রাবাদ সোনালী ব্যাংকের সামনে তিনটি কুকুরের কিছু একটাকে নিয়ে টানাটানি চোখে পড়ে।

শিশুর কান্নার আওয়াজ পেয়ে দ্রুত সেখানে যান। কাছে গিয়ে দেখতে পান হাত পা নাড়াচাড়া করেছে এক নবজাতক।

প্রাতঃভ্রমণে বের হওয়া এক নারীর সহায়তায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করেন তিনি।

পাশের অস্থায়ী চায়ের দোকান থেকে নেয়া কাপড়ে জড়িয়ে ওেই নবজাতককে দ্রুত আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে নেন।

সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নবজাতককে চমেকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।

এদিকে, চমেক হাসপাতালে যাওয়ার পথে বাদামতলী মোড়ে জনতা ব্যাংকের সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় প্রসুতিকে পান ওই পুলিশ।

ভারসাম্যহীন ওই নারী তার নামে আয়েশা জানালেও পরিচয় জানাতে পারেননি। আনুমানিক ২৫ বছরের ওই নারীকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতলের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন তিনি।

নবজাতক সুস্থ্য থাকায় তাকেও দেয়া হয়েছে ওয়ার্ডে। ওই নবজাতকের দেখভাল করছেন স্থানীয় এক নারী। তিনিই তাকে বুকের দুধপান করাচ্ছেন।

এ বিষয়ে সিএমপির সহকারী কমিশনার (ডবলমুরিং জোন) আশিকুর রহমান বলেন, এক পুলিশ সদস্য শুধু বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা নয় জনগণের বন্ধু হিসেবে পুলিশ সবসময় যে আছে তার প্রমাণ দিয়েছে এসআই মোস্তাফিজ।

সহকারী কমিশনার বলেন, মানবতা যেখানে বিপন্ন সেখানে এই পুলিশ সদস্য সত্যিকারের দেবদূত হয়ে দুটি প্রাণকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলেন নিঃস্বার্থভাবে।

বিএ-১১/১৯-০৮ (আঞ্চলিক ডেস্ক)