অবশেষে জামিন পেলেন থানায় ‘গণধর্ষণের’ শিকার নারী

খুলনা জিআরপি থানায় পুলিশের হাতে ‘গণধর্ষণের’ শিকার সেই নারীর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। পুলিশের করা মাদক মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি।

বুধবার দুপুরে খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সাইফুজ্জামান ওই নারীর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

আগামী ২ সেপ্টেম্বর মামলার শুনানির দিনে ওই নারীকে আদালতে হাজির করার শর্তে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা খুলনার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলামের জিম্মায় তাকে জামিন দেয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম বলেন, আগামী ২ সেপ্টেম্বর মামলার শুনানির দিনে ওই নারীকে আদালতে হাজির করার শর্ত সাপেক্ষে এ জামিন আবেদন মঞ্জুর করা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২ আগস্ট যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় আসার পথে রেলওয়ে পুলিশের সদস্যরা ওই নারীকে মোবাইল চুরির অভিযোগে আটক করে।

অবশ্য জিআরপি পুলিশের দাবি, বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী কমিউটার ট্রেন থেকে ওই নারীকে ফেনসিডিলসহ আটক করা হয়।

ওই নারীর অভিযোগ, ওই দিন রাতে থানার ওসি ওসমান গণি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য তাকে ধর্ষণ করে। পরদিন পাঁচ বোতল ফেনসিডিলসহ মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। গত ৪ আগস্ট আদালতে
পাঁচ পুলিশের গণধর্ষণের বর্ণনা দেন ওই গৃহবধূ। এরপর আদালতের নির্দেশে ৫ আগস্ট তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।

এদিকে, ধর্ষণের অভিযোগ তদন্ত করছে পুলিশের দুটি কমিটি। এরই মধ্যে অভিযুক্ত ওসি ওসমান গণি পাঠানসহ দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পাকশী রেলওয়ে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়া ওই নারী গত ৯ আগস্ট খুলনা জিআরপি থানায় একটি মামলা করেছেন। খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশে ‘২০১৩ সালের নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের’ ১৫ ধারায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। মামলায় খুলনা জিআরপি থানার ওসি, ওই রাতের ডিউটি অফিসার ও অজ্ঞাত তিন পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।

জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসমান গণি পাঠান, ডিউটি অফিসার নাজমুলসহ পাঁচ পুলিশের নামে মামলা হলেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এমনকি সাময়িক বরখাস্তও করা হয়নি।

বিএ-১৪/২৮-০৮ (আঞ্চলিক ডেস্ক)