সরকারি কলেজে জাল সনদে ৮ বছর ধরে প্রভাষক তিনি

যশোরের চৌগাছা সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে চাকরি করার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় মামলা করার জন্য গত ৬ অক্টোবর কলেজ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন এনটিআরসিএ’র সহকারী পরিচালক তাজুল ইসলাম।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তরিকুল ইসলাম রিপন ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত পঞ্চম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দেখিয়ে ২০১১ সালে চৌগাছা ডিগ্রি কলেজের কারিগরি শাখার ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ পান। ওই বছরই তিনি এমপিওভুক্ত হন। শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় তার রোল নম্বর ছিল ৪২৩১২৬০০, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৯০০৩১১। পরবর্তীতে চৌগাছা ডিগ্রি কলেজ জাতীয়করণ হয়েছে।

সর্বশেষ গত ৬ অক্টোবর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সহকারী পরিচালক (পমূপ্র-৩) তাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ১৫ জন নিবন্ধনধারীর সনদপত্র যাচাইয়ের তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। ওই তালিকার ১০ নম্বর ক্রমিকে থাকা তরিকুল ইসলামের নিবন্ধন সনদ সঠিক নয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও বলা হয়েছে- তিনি আবশ্যিক বিষয়ে ৩০ নম্বর ও ঐচ্ছিক বিষয়ে ৩৬ নম্বর পেয়েছিলেন। নিবন্ধন সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চৌগাছা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষকে চিঠি দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে চৌগাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে চিঠির অনুলিপি দেয়া হয়েছে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে তরিকুল ইসলামের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

চৌগাছা সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহে এনটিআরসিএ’র চিঠি পেয়েছি। ব্যক্তির অপরাধের দায় অধ্যক্ষ কিংবা প্রতিষ্ঠান বহন করবে না। দ্রুতই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে কালক্ষেপণ কিংবা স্বজনপ্রীতি করা হয়নি।

চৌগাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিফাত খান রাজীব বলেন, জাল সনদের বিষয়ে এনটিআরসিএ’র চিঠির কোনো অনুলিপি এখনও হাতে পাইনি।

বিএ-১৪/২৭-১০ (আঞ্চলিক ডেস্ক)