ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে এনে বন্ধুকে হত্যা, যুবকের মৃত্যুদণ্ড

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় সুমন মিয়া হত্যা মামলায় রাজিব ওরফে বুলবুল নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার সকালে কিশোরগঞ্জের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এ আদেশ দেন। এ সময় মামলার একমাত্র আসামি রাজিব আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত রাজিব ওরফে বুলবুল পাকুন্দিয়া উপজেলার চরটেকি কোনাপাড়া গ্রামের সোহরাব উদ্দিনের ছেলে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, চরটেকি গ্রামের মাহতাব উদ্দিনের ছেলে সুমন ও রাজিব ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলেন। দুইজনই চুরি-চামারি করতেন। চুরি করা টাকার ভাগ ভাটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ২০১৫ সালের ৬ জুলাই রাতে রাজিব তার বন্ধু সুমনকে মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে ডেকে এনে চরটেকি ঈদগাহ মাঠে নিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে। রাতেই তার মরদেহের বিভিন্ন স্থানে ছরিকাঘাতে করে তারকান্দি বাজারের কাছে একটি বাথরুমের ট্যাংকিতে মরদেহ ফেলে রাখে।

দুইদিন পর সুমনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একই দিন রাজিবকে আটক করে পুলিশে দেয় এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে একই বছরের ১২ জুলাই রাজিবকে একমাত্র আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় মামলা করেন নিহত সুমনের মা শিউলি আক্তার।

পুলিশ মামলার তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালতিআজ এই মামলার রায় দেন।

বিএ-০২/২৬-১১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)