ধর্ষণ মামলা থেকে বাঁচতে ধর্ষকের কাণ্ড

ভৈরবে শিশু ধর্ষণ মামলা থেকে বাঁচতে নিজের বাড়ি-ঘর ভাঙচুরের পর ধর্ষিতার বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণকারীর পরিবারের লোকজন সোমবার সন্ধ্যায় ভৈরবের কালিকাপ্রসাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটায়।

খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ধর্ষকের পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়। পুলিশের জেরার মুখে ধর্ষক শাকিলের মামি আলেয়া বেগম ঘটনা স্বীকার করে জানান, ধর্ষণের মামলা থেকে বাঁচতে তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ ধর্ষকের পরিবারের লুট করা মালামাল আটক করে এলাকার চেয়ারম্যানের ভাই কবির মিয়া ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মিন্টুর জিম্মায় দেন।

গত ১৪ ডিসেম্বর ভৈরবের কালিকাপ্রসাদ এলাকার কুমিড়মারা গ্রামের মোরশেদ মিয়ার ৫ বছরের শিশুকন্যাকে পাশের বাড়ির আল-আমীনের ছেলে শাকিল ধর্ষণ করে। এদিন একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে ডেকে নিয়ে কলাবাগানে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ভৈরব থানায় মামলা করেন শিশুটির বাবা। পুলিশ শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা করলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। ঘটনার পর থেকে ধর্ষক শাকিল পলাতক।

এদিকে ধর্ষণকারীর বাবা আল-আমিন বাদী হয়ে গত সপ্তাহে কিশোরগঞ্জ আদালতে একটি মিথ্যা মামলা করেন। ওই মামলায় অভিযোগ করা হয়, ধর্ষিতার বাবা ও তার পরিবার তাদের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে। মিথ্যা মামলা বাস্তবে রূপ দিতে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তারা নিজেরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

ভৈরব থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আমজাদ শেখ জানান, ধর্ষণের মামলা থেকে বাঁচতে ধর্ষকের পরিবার কিশোরগঞ্জ আদালতে বাড়ি-ঘর লুটপাটের একটি মিথ্যা মামলা করেছে। তারা ধর্ষিতা শিশুর বাবার বাড়ি-ঘর ভাঙচুর লুটপাট করার পর তাদের নিজের বাড়ি-ঘর তারাই ভাঙচুর ও লুটপাট করে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

বিএ-১৪/১৩-০১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)